আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবীপক্ষের সূচনার সকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটল খাস কলকাতায়। বাঁশদ্রোণী এলাকায় কোচিং সেন্টারে পড়তে যাওয়ার সময় এক স্কুল পড়ুয়াকে পিষে দিল জেসিবি। আর তার জেরে ঘটনাস্থলেই ওই নাবালক ছাত্রের মৃত্যুর হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই আজ, বুধবার সকালে স্কুল ছাত্রের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হল বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিকে ওই স্কুল পড়ুয়াকে জেসিবি পিষে দেওয়ায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আহত ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার মারাত্মক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এই এলাকায়। পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়েই বাসিন্দাদের যেতে হয় বলে অভিযোগ। আর এখান দিয়েই সব ধরণের যানবাহন চলে। সুতরাং একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। আগেও এখানে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রাণহানির ঘটনা এই প্রথম বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: মোদী–ইউনুস সাক্ষাৎ হতে চলেছে নভেম্বর মাসে, বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে পৃথক বৈঠক!
অন্যদিকে এই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানের রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থায় ছিল। এখন তা মেরামতি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় কয়েকদিন ধরে ভাঙাচোরা রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। সেই সারাইয়ের কাজের জন্য এখানে রাখা ছিল একটি জেসিবি। আজ, বুধবার সকালে কোচিং সেন্টার যাচ্ছিল বাঁশদ্রোণীরই নবম শ্রেণির এক ছাত্র। তখন মাটি কাটার কাজ চলছিল। এমন সময় ওই জেসিবিটি ধাক্কা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারে স্কুলপড়ুয়াকে। আর তাতেই গাড়িতে পিষ্ট হয়ে যায় ওই ছাত্রটি। মহালয়ার দিন এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
এছাড়া সাইকেলে চেপে পড়তে যাচ্ছিল স্কুলপড়ুয়া। তখন পিছন থেকে আসা একটি জেসিবিকে যাওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয় ছাত্রটি। আর দীনেশ নগর অটো স্ট্যান্ডের সামনে একটি গাছের গোড়ায় সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে স্কুলপড়ুয়া। কিন্তু তারপরও জেসিবি যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ুয়াকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে সে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘাতক জেসিবিতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।