বারাসত উড়ালপুলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাটা অত্যন্ত জরুরী। ডিসেম্বরের শুরুতেই সেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। তার জেরে বারাসতের ওই উড়ালপুলে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
কেবলমাত্র যানবাহন বন্ধ রাখা হবে এমনটাই নয়, উড়ালপুলের নীচে প্রচুর হকার রয়েছেন। সেখানকার ব্যবসায়ীদেরও দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই উড়ালপুল। এই ফ্লাইওভার দিয়েই বারাসত থেকে ব্যারাকপুর, নৈহাটি, বড় জাগুলিয়ার দিকে সহজেই যাওয়া যায়। বাম জমানায় ১২ নম্বর রেলগেলের উপর এই উড়ালপুল তৈরি করা হয়েছিল। চাঁপাডালি থেকে কলোনি মোড় পর্যন্ত তৈরি হয়েছিল এই উড়ালপুল। এদিকে একাধিকবার এই উড়ালপুল সংস্কারের কাজ করা হয়েছে।
বছর কয়েক আগে এই উড়ালপুলের গার্ডার সংস্কার করা হয়েছিল। তবে তারপরেও কিছু কাজ বাকি ছিল। কিছু বিয়ারিংয়ের কাজ করতে হবে। কারণে সেগুলির পরিস্থিতি যথাযথ নয়। এদিকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে এই উড়ালপুল সংস্কার করার ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়নি। এরপর পূর্ত দফতরের বারাসত ডিভিশনের পক্ষ থেকে এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য জেলা প্রশানের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রশাসন। আপাতত ঠিক করা হয়েছে ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই এই কাজ শুরু হতে পারে।
প্রাথমিকভাবে এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য়পরীক্ষা করা হবে। অর্থাৎ ফ্লাইওভারটি ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। তারপর সেখানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ করা হবে।
বর্তমান সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, উড়ালপুলের বেশ কিছু গার্ডার পরিবর্তন করতে হবে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই কাজ শুরু হবে। তার দুদিন আগে থেকেই যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। তিনি জানিয়েছেন, উড়ালপুলের নীচে হকারদের যে দোকান রয়েছে সেগুলিও বন্ধ রাখতে হবে। তবে এই কাজ রাতের দিকে হবে।
এদিকে এই কাজ শুরুর আগে জনগণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। সেখানেই উল্লেখ করা থাকবে কতদিনের জন্য বন্ধ থাকবে এই ব্রিজ। এর পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে কী করা হচ্ছে সেটাও জানানো হবে। আসলে বারাসত শহরের যানজট মোকাবিলা ও বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে রাস্তা যাতে আরও সুগম হয় সেকারণেই এই উড়ালপুল তৈরি করা হয়েছিল। তবে সেই ফ্লাইওভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।