জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। তাঁদের আন্দোলন এখনও চলছে। আন্দোলনে নেমেছে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বও। সোমবার সেই বঙ্গ বিজেপির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে এসেই মিঠুন একেবারে ফিল্মি স্টাইলেই বলেছিলেন, দিন এসে গিয়েছে। তৈরি থাকুন। আত্মহুতি দিতে হতে পারে। এমনকী সেই সঙ্গেই মিঠুন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন,গুলি চালানো হতে পারে।
মিঠুন বলেছিলেন, এই সরকার আন্দোলনকে ভণ্ডুল করে দিতে চায়। এখন আমরা দেখছি চোখ খুলে। যদি দেখি ভণ্ডুল তখন আমরা নামব। আবার নবান্ন অভিযান হবে। এরপরই তিনি বলেছিলেন, আমি থাকব। এই অভিযান ব্রিজে গিয়ে থামবে না। ১৪ তলায় গিয়ে থামবে। কার্যত বঙ্গ বিজেপির ঝিমিয়ে পড়া নেতাদের চাঙা করতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি মিঠুন।
তবে অনেকেই বলছেন এবার আরজি করের মতো এত বড় ইস্যু পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই ইস্যু রাজ্য়ের গন্ডী ছাপিয়ে চলে গিয়েছে ভিনরাজ্যে। রাজ্যে রাজ্যে হয়েছে প্রতিবাদ। কিন্তু তারপরেও যেন কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতৃত্বও এনিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করছেন না। বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব ধরনায় বসেছেন। কিন্তু কোথাও যেন সেই আগের মতো জোশ নেই। তবে কি ভোট দূরে এটা বুঝে গিয়েই আন্দোলনের তীব্রতা সেভাবে নেই।
তবে মিঠুন কিন্তু আন্দোলনে জোর আনতে সবরকম প্রচেষ্টা করেছেন। মিঠুন জানিয়েছেন, তৈরি থাকুন। দিন এসে গিয়েছে। আত্মহুতি দিতে হতে পারে। আমাদের তৈরি থাকতে হবে। ওরা গুলি চালাবে। আমরা সামনে থাকব। কত গুলি চালায় চালাক। কিন্তু আমাদের ১৪ তলায় গিয়ে থামব। হুঁশিয়ারি মিঠুনের।
তবে মিঠুনের সেই হুঁশিয়ারির জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, মিঠুনদার নিশ্চয়ই কোনও সিনেমা আসছে। বিপ্লবী ডায়ালগ দিয়ে প্রচার পেতে নেমেছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একাধিক ক্ষেত্রে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আগেও কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। এবার আরজি কর ইস্যু নিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর সেই মিঠুনকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে আরজি কর কাণ্ড কার্যত অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে। অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে। এদিকে সেই পরিস্থিতিতে কুণাল এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বহু জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে! সেটা করা হচ্ছে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের চাপে!