তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুতে নতুন করে FIR দায়ের হওয়ায় বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি বলে কয়েক মাস জেলে থাকতে হবে? উনি সোজাসুজি বলে দিলেই আমি জেলে চলে যাব।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর পুলিশ ব্যারাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শুভেন্দু অধিকারীর তৎকালীন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। মাথায় গুলি লাগে তাঁর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘আত্মহত্যার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। সেই ঘটনায় গত ৭ জুলাই তদন্ত চেয়ে নতুন করে FIR দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী। সেই অভিযোগপত্রে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাখাল বেরার নাম। অভিযোগ পেয়ে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।
শুক্রবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এসব পুলিশের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিন, নন্দীগ্রামে তাঁকে হারিয়েছি তাই কয়েক মাস জেলে থাকতে হবে। তিন মাস… ছ’মাস কতদিন থাকতে হবে? উনি বলে দিন। বয়সে বড়। আমি সেই নির্দেশ মেনে নেব।’ সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘ওই ঘটনায় ফাইনাল চার্জশিট হয়ে গেছে। তার পর কী হবে জানা আছে’।
নিহত শুভঙ্করবাবু জ্যেঠতুতো দাদা তথা মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী শুক্রবার বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার আগের দিন ও শুভেন্দুবাবুর সঙ্গেই ছিল। রাতে ফিরে স্ত্রীকে ফোন করে। সকালে ওর স্ত্রী স্কুলে যাওয়ার আগেও ২ জনের কথা হয়। তখন সে জানায় দুপুরে বাড়ি গিয়ে খাবে। এর মধ্যে এমন কী হল যে সে সকাল ১১টা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হল। তিলকবাবুর ইঙ্গিত, শুভেন্দু অধিকারীর চাপে ওই ঘটনার তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হয়।