আগামী রবিবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। প্রাথমিকের টেটে বিএড (স্পেশাল এডুকেশন) ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। সেই সংশয় কাটিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিল, বিএড (স্পেশাল এডুকেশন) ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তবে পরীক্ষায় বসলেও আদৌও তাঁরা চাকরি পাবেন কিনা তা মামলার মূল রায়ের উপর নির্ভর করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসার সুযোগ চেয়ে কয়েকজন বিএড (স্পেশাল এডুকেশন) ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাদের হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী অভ্রোতোষ মজুমদার এবং ফিরদৌস সামিম। তাঁদের আর্জি ছিল মামলাকারীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। যদিও বিএড (স্পেশাল এডুকেশন) ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ক্ষেত্রে বিএড পাশ প্রার্থীদের সমতুল্য মর্যাদা পাবেন কিনা সে বিষয়টি এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে যেহেতু পরীক্ষার আর বেশি দেরি নেই তাই বিএড প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিএড প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসার নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। প্রথমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিএড প্রার্থীদের পরীক্ষার বসায় সুযোগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান ডিএলএড প্রার্থীরা। পরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দেয়, মামলাটি যেহেতু শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তাই শীর্ষ আদালত অনুমতি দিলে তবেই তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, ডিএলএড প্রার্থীরা দাবি করেন, প্রাথমিকে তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট রয়েছে। প্রায় ৬ বছর পর টেট হচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু এই পরীক্ষায় স্পেশাল বিএড-এর জন্য কোনও অপশন দেওয়া হচ্ছিল না। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের বিএড হিসেবেই আবেদন করতে হয়েছে। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, বিএড স্পেশালরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। সেই নিয়েই মামলা করা হয়েছিল আদালতে।