গাড়ির পেছনে একটি স্টিকার। সেই স্টিকার দেখেই চমকে গিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। দ্রুত সেই গাড়িকে দাঁড় করান পুলিশকর্মী। এরপর সেই স্টিকার সরানোর জন্য় অনুরোধ করেন। তবে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে সেই স্টিকার সরিয়ে নেন গাড়ির মালিক।
কী ছিল সেই স্টিকারে? ঠিক কী অনুরোধ করেছিলেন পুলিশকর্মী?
কলকাতা পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, গাড়ির যে স্টিকার এই ছবিদুটিতে আপনারা দেখছেন, এটা আমাদের এক সহকর্মী দেখেছিলেন। ডিউটি চলাকালীন তিনি ওই গাড়ির কাঁচের পেছনে স্টিকারটা দেখেছিলেন। তিনি বুঝতে পারেন যে এই মজার পেছনে একটি অন্যরকম নারীবিদ্বেষী, বৈষম্যের বার্তা রয়েছে। পাশাপাশি এই ধরনের একটি উসকানিমূলক বার্তা আইনের চোখে মানহানি বলে উল্লেখ করা যেতে পারে। এতে বিশেষ ধারায় জরিমানা হতে পারে। তবে আমরা প্রথমে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আমরা প্রথমে সেই গাড়ির চালককে গোটা বিষয়টি জানাই। তিনি কী বিবেচনা করছেন সেটা তাঁর উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া এই ধরনের নেতিবাচক ও লিঙ্গ বৈষম্য কি আদৌ হওয়া উচিত। তাছাড়া এই ধরনের নারীদের অসম্মান করে তিনি কি তাঁর পরিবারের মহিলাদেরও অপমান করছেন না?
কলকাতা পুলিশ আরও লিখেছে, তবে তিনি ( গাড়ির মালিক) আমাদের অনুরোধের পেছনে আসল যে উদ্দেশ্য রয়েছে সেটা তিনি বুঝতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্টিকার সরিয়ে দেন। একজন নাগরিক হিসাবে তাঁর এই সহযোগিতায় আমরা খুশি। আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করছি দেশের সবথেকে নিরাপদ শহরে( কলকাতা) নারীদের প্রতি যাতে সম্মান প্রদর্শন করা হয় সেটা খেয়াল রাখবেন।
কী ছিল স্টিকারে?
সেই স্টিকারে আপাতভাবে একজন নারী ও একজন পুরুষের ছবি ছিল। তার নীচে ইংরেজিতে লেখা ছি,ল বিলিভ এ স্নেক নট এ গার্ল।অর্থাৎ একটি সাপকে বিশ্বাস করবেন কিন্তু কোনও মেয়েকে নয়। এই স্টিকারের মাধ্যমে নারীদের প্রতি অসম্মানজনক একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার জেরেই সেই স্টিকারটা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়। তবে গাড়ির মালিক বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সেই স্টিকারটি সরিয়ে নেন।
কলকাতা পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, বাংলার সংস্কৃতি এই ধরনের ঘটনাকে অনুমোদন করে না। অপর একজন লিখেছেন খুব ভালো উদ্য়োগ। ভালো কাজ করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে এক নেটিজেন লিখেছেন এটা নীতি পুলিশিং ছাড়া কিছু নয়।