বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > বঙ্গ–বিজেপির জয়ী সাংসদরা সবাই টিকিট পাবেন না, শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ

বঙ্গ–বিজেপির জয়ী সাংসদরা সবাই টিকিট পাবেন না, শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ

সাংগঠনিক কাজকর্মের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে (PTI)

এই কাজটা করছে এক, বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দুই, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) কর্তারা এবং তিন, একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে তিনটি দলের তিনটি রিপোর্ট জমা পড়বে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। সেই রিপোর্টের উপর অনেকটা নির্ভর করছে কারা টিকিট পাবেন না। কাদের আসন বদল করা হবে?

আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ–বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ টিকিটই পাবেন না। আবার কয়েকজনের আসন বদল হয়ে যাবে। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় নেতারা। সে খবর এসে পড়েছে বঙ্গে। আর তার ফলে দলের অন্দরেই অনেকে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা জিতে সাংসদ হয়েছিলেন তাঁদের সবাই টিকিট পাবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন মুখ নিয়ে আসা হতে পারে বলে খবর।

এদিকে বেশ কয়েকজন সাংসদ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাবে না জানতে পেরে দলের অন্দরে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তাতে এটা স্পষ্ট টিকিট না পেলে তাঁরা আর দলের কাজ করবেন না। বরং বসে যাবেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই দলে শুরু হয়ে গিয়েছে ১৬ জন সাংসদের মেয়াদকালের কাজের খতিয়ান যাচাই–পর্ব। উন্নয়ন ও সাংগঠনিক কাজকর্মের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

অন্যদিকে এই কাজটা করছে তিনটি দল। এক, বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দুই, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) কর্তারা এবং তিন, একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কাজ শেষ হলে তিনটি দলের তিনটি রিপোর্ট জমা পড়বে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। সেই রিপোর্টের উপর অনেকটা নির্ভর করছে কারা টিকিট পাবেন না। কাদের আসন রদবদল করা হবে?‌ সেটাও ঠিক হবে এই সমীক্ষা রিপোর্ট দেখেই বলে সূত্রের খবর।

কেন এমনটা করা হচ্ছে?‌ বঙ্গ–বিজেপি সূত্রে খবর, অমিত শাহ ৩৫টি আসনের টার্গেট দিলেও বাস্তব পরিস্থিতি একেবারে বিপরীত। মঙ্গল পাণ্ডে, সতীশ ধন্দ, সুনীল বনসলের রিপোর্টে তেমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে— ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, আসানসোল, ব্যারাকপুর, হুগলির মতো আসনে জেতার আশা কার্যত নেই। লড়াই করার মতো জায়গা রয়েছে কাঁথি, তমলুক, আরামবাগ, বর্ধমান–দূর্গাপুর, বনগাঁ এবং রানাঘাটে। লড়াই হবে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর এবং পুরুলিয়ার মাটিতে। কিন্তু এই সব আসনেই যে জয় সম্ভব এমন কথা বলা যাচ্ছে না। এমনকী উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জেতা উত্তরবঙ্গের ৭টি আসনেও ধস নামতে পারে। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট এবং উত্তর মালদা আসনে ধাক্কা খেতে পারে। তাই দলের পক্ষ থেকে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণে নামা হয়েছে।

বন্ধ করুন