এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সরকারের চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুকান্ত তোপ দাগেন, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায় নয়, পুরো ডালটাই কালো হয়ে গিয়েছে।’
শনিবার দুপুরে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলনকারীদের ধরনামঞ্চে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, ‘এসএসসিতে নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে বলে সকলেই আমায় জানাচ্ছেন। কীভাবে কী হয়েছে, সবই শুনলাম। প্রশ্ন হল, মেধাতালিকায় পাঁচ নম্বরে থাকা ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে কেন ১৫ নম্বরকে চাকরি দেওয়া হল? কেন যোগ্যতা থাকা সত্বেও এতদিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করতে হচ্ছে?’
একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘অনেকেই অভিযোগ করছেন, এই ধরনা চালিয়ে যাওয়ার পিছনে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ আছে। কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক নয়। সকলে ন্যায্য পাওনার দাবিতেই এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের মন্তব্যই প্রমাণ করে দেয়, এসএসসি অফিস ঘুঘুর বাসা হয়ে গিয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি, দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকৃত তদন্ত হওয়া উচিত।’একইসঙ্গে তিনি জানান, 'পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে জানাব। আমরা আমাদের তরফ থেকে আইনি সহযোগিতা দেব। ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এখন তিনি ভুলে গিয়েছেন। বুঝতে পারছি, কী মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন (চাকরিপ্রার্থীরা)। মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হল। বেকারত্বের জ্বালা কী, সেসব হয়ত তাঁদের জীবনে ঘটেনি, তাই তাঁদের দুঃখকষ্ট বুঝতে পারছেন না।'
উল্লেখ্য, মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্বেও চাকরি না হওয়ায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আইন পরিবর্তন করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তিনি কথা রাখেননি। এদিন চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে ধরনা মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন। ধরনামঞ্চ থেকেই এক চাকরিপ্রার্থী জানান, বাংলায় মা–মাটি–মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ বাংলার মায়েরাই এখন মাটিতে পড়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের আবেদন, মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের প্রতি সহনুভূতিশীল হন।
সহনুভূতিশীল হন।