ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে আড়িপাতা হয়ে থাকতে পারে বলে খবর প্রকাশ করেছিল দ্যা ওয়্যার নামক পোর্টাল। সেই খবরের প্রেক্ষিতেই অভিষেককে সমর্থন জানিয়ে টুইট করা হয়েছিল কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। মমতার সফরের আগে কংগ্রেসের তরফে এই টুইটটিকে অনেকেই জোটের ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছিলেন। তবে এই টুইটটিকে 'কসাইয়ের ছাগল পোষার' সঙ্গে তুলনা করেছে বঙ্গ বিজেপি।
কংগ্রেস-তৃণমূলের এই সখ্যতাকে তোপ দেগে বিজেপির তরফে শমীক ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, 'এই জোটের মুখ কে হবেন? কারোর ছবি দিয়ে টুইট করা হলেই কি সেই ব্যক্তির নেতৃত্ব মেনে নেবে কংগ্রেস?' এদিন পেগাসাস বিতর্কে পালটা যুক্তি সাজাতে গিয়ে শমীক ভট্টাচার্য মনে করিয়ে দেন যে বিজেপিতে থাকাকালীন মুকুল রায় অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্য সরকার তাঁর ফোনে আড়ি পাতে।
এদিকে শমীক এদিন আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া কমিটির কোনও গুরুত্বই নেই। তাঁর এই ঘোষণা কতটা বাস্তবসম্মত, তা স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতে।' পাশাপাশি পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে শমীকবাবু বলেন, '১০ বছরের মধ্যে কোনও সিপি ইজরায়েল সফর করেছিলেন? ১০ বছরের মধ্যে কেউ কি পেগাসাসকে বাংলায় নিয়ে এসেছিলেন?' তাঁর অভিযোগ, 'আড়ি পাতা নিয়ে রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা থেকে নজর ঘোরাতে এবং বাদল অধিবেশন অচল রাখতেই এসব করা হচ্ছে।'
এদিকে এদিন সিপিএমকেও কটাক্ষ করেন সমীক। বলেন, 'তৃণমূলের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সিপিএম। যে সিপিএমের বিরোধিতা করে তৃণমূল নির্বাচনে জিতেছে, আজ দুর্ভাগ্য হোক বা সৌভাগ্য, বিমান বসু সেই তৃণমূলের নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার কথা বলছেন। তবে বিমানবাবু যদি ২১ জুলাই হাত জোড় করে বলতেন, ক্ষমা করো, তাহলেই ভালো হত। মুজাফফর আহমদ, হরেকৃষ্ণ কোণার, জ্যোতি বসুর দল একটা ঔদ্ধত্যের সামনে আত্মসমর্পণ করেছে।'