কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পালটে গেল আবহ। ৯ নভেম্বর ইকো পার্কের অনুষ্ঠানে মুখ্য়মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়েছিলেন, কোনও সংঘাতের জায়গা নেই। একটাই পথ, এক সঙ্গে চলতে হবে। আর ঠিক তার পরের দিনই তিনি টুইট করলেন একেবারে বিপরীত অবস্থান থেকে। একেবারে সংঘাতের আবহে। আশ্চর্যজনক। এভাবেই বুধবার রাজ্যে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। গ্লোবাল বিজনেস সামিটগুলোর পর কত টাকার বিনিয়োগ এসেছে তা নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে শ্বেতপত্র চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার রাজ্যপালের সেই দাবির জবাব কার্যত কড়ায় গন্ডায় দিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
সদ্য় মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা হয়েছেন অমিত মিত্র। নতুন পদে বসেই রাজ্যপালের টুইটের জবাব দিলেন তিনি। রাজ্যপাল টুইট করে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনগুলির সফলতা নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, একবছর পরেও তার উত্তর পাননি তিনি। এবার তারই জবাব দিলেন অমিত মিত্র। তাঁর দাবি, গত বছর ২৪শে নভেম্বর রাজ্যপালকে এনিয়ে চার পাতার চিঠিতে জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ২৫শে অগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে এনিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে পাঠানো সেই চিঠিতে অমিত মিত্র উল্লেখ করেছিলেন, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১২,৩২, ৬০৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছিল। তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক বিনিয়োগ মাধ্যমে রয়েছে।
এদিকে এর সঙ্গেই অমিত মিত্রর সরস টুইট, মাননীয় রাজ্যপালের টুইট অনেকটা ডঃ জেকিল আর মিস্টার হাইডের মতো। ৯ই নভেম্বর তিনি পরবর্তী সামিট নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে পরিকল্পনাকে সমর্থন করলেন। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি বছর খানেক আগের একটি চিঠিকে সামনে এনে সেই সামিট নিয়েই বিষোদ্গার করলেন। অমিত মিত্রের কটাক্ষ, তিনি কি অ্যামনেসিয়াতে ভুগছেন? স্মৃতি লোপ পাচ্ছে রাজ্যপালের প্রশ্ন অমিত মিত্রের।