'সাক্ষাৎ দুর্গা ও ন্যাচারাল অ্য়ালি।' দুপাশে দুজন ধরে রয়েছেন একজনকে। তাঁর পায়ে হাওয়া চটি। পরনে নীল সাদা শাড়ি। আর দুপাশে দুজন ধরে রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। এক্স হ্য়ান্ডেলে এই কার্টুন পোস্ট করেছে বঙ্গ সিপিএম। যে বিজেমূল তত্ত্ব নাকি সিপিএমের কাছে ঐতিহাসিক ভুল ছিল সেই তত্ত্বেই শান দিয়ে এই পোস্ট। এমনটাই মত অনেকের।
সিপিআইএম ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফে লেখা হয়েছে, রাজ্যে আরএসএস/বিজেপি যাতে পায়ের নীচে মাটি পায় সেকারণে সহায়তা করছেন মমতা। সিপিএমের তরফে লেখা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বামপন্থীদের দূরে সরানোর জন্য নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল। রাজ্যে বামপন্থীদের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বিজেপির এসব করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। এভাবেই রাজ্যে আরএসএস/বিজেপি যাতে পায়ের নীচে মাটি পায় সেকারণে সহায়তা করছেন মমতা।
সেই সঙ্গেই সিপিএমের তরফে লেখা হয়েছে, সইফুদ্দিন লস্কর নামে তৃণমূল কর্মীর গুলিতে মৃত্যুর পরে ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে সিপিএম কর্মীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। খুনের জায়গা থেকে ৫ কিমি দূরে দলুয়াখালিতে এই ঘটনা হল। পুলিশের সামনে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী এসব করল।
তবে সিপিএমের ফের সেই পুরানো লাইনে ফেরা নিয়ে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্য়েই। গত বিধানসভা ভোটের ঠিক পরের সময়টাতে একবার ফেরা যাক। সেই সময় তৎকালীন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, বিজেমূল স্লোগান দেওয়া ভুল হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে কোনও দলকে এক করে দেখা যায় না। কার্যত ভরাডুবির কারণ খুঁজতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত এই বিজেমূল নিয়ে প্রচারটাকে কাঠগড়ায় তুলেছিল সিপিএম।
এদিকে সামনেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। ইন্ডিয়া জোটের পরে রাজ্যে আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস। আর সেই সময় আচমকাই সেই বিজেমূল তত্ত্বকে সামনে আনল সিপিএম। তবে সিপিএম অবশ্য সরাসরি বিজেমূল শব্দটি কোথাও লেখেনি। তবে বাংলায় আরএসএস ও বিজেপি যাতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে তার জন্য় চেষ্টা করছেন মমতা এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সিপিএমের তরফে। তবে কি ফের ঐতিহাসিক ভুলের পথে হাঁটছে বাংলার লাল পার্টি?