বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Bengal Day: পয়লা বৈশাখই হোক বাংলা দিবস, প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়, ‘দেখি কার শক্তি বেশি,’ হুঁশিয়ারি মমতার

Bengal Day: পয়লা বৈশাখই হোক বাংলা দিবস, প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়, ‘দেখি কার শক্তি বেশি,’ হুঁশিয়ারি মমতার

বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। (ANI Photo) (ANI )

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। ওরা বলছেন, রাজ্যপালকে সই করতে দেবেন না। রাজ্যপাল সই না করলে কিছু যায় আসে না। দেখি কার শক্তি বেশি!

পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে এবার দ্বন্দ্ব চরমে। ২০ জুন নাকি ১৫ এপ্রিল কোনটা হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস? তার মধ্য়েই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাংলা দিবসের প্রস্তাব পাশ হল। এদিন বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। তবে বিজেপির বিধায়করা পালটা রাজ্যপালের কাছে জানিয়ে এসেছেন তাঁরা চান ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবাস হিসাবে ঘোষণা করা হোক।তাঁরা কোনওভাবেই পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসাবে মানবেন না। সেক্ষেত্রে এবার রাজ্যপাল ঠিক কোন পদক্ষেপ নেন সেটাই এবার দেখার।

এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছিল ১৬৭টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছিল ৬২টি। বিপক্ষে থাকা বিধায়করা ২০জুন তারিখটিকে এই দিবস পালনের কথা জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গেই রবীন্দ্র ঠাকুরের বাংলার মাটি বাংলার জলকে রাজ্য সংগীত হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলার মাটি বাংলার জলকে আমরা রাজ্য সংগীত হিসাবে ঘোষণা করছি। বাংলার মানুষ ২০ জুনকে সমর্থন করেন না। এটা হিংসার সঙ্গে যুক্ত। এটা রক্তপাতের সঙ্গে যুক্ত।

এদিকে আইএসএফ বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি এই ভোটদান থেকে বিরত থাকেন।

এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই প্রস্তাব হবে অনেকটা ইডি, সিবিআইকে আটকানোর মতো, এটা হবে বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রস্তাবের মতো। সবাই জানে ১৯৪৭ সালের ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সচিবের কাছে থেকে প্রাপ্ত নথি অনুসারে এটা জেনেছি। বিজেপির অফিস থেকে এটা পাইনি। এই রেকর্ডকে আপনি নষ্ট করতে পারবেন না। এই ইতিহাসকে আপনি বিকৃত করতে পারবেন না। এতে আপত্তিটা কোথায়?

তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। ওরা বলছেন, রাজ্যপালকে সই করতে দেবেন না। রাজ্যপাল সই না করলে কিছু যায় আসে না। দেখি কার শক্তি বেশি! রাজ্যপালের শক্তি বেশি নাকি জনতার শক্তি বেশি। যাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে কোনও অবদান ছিল না তারাই আবার এসব নিয়ে কথা বলছেন।

 

বন্ধ করুন