রাজ্যের একাধিক জায়গায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে পেট্রল। বাড়ছে ডিজেলের দামও। তার জেরে নাভিঃশ্বাস উঠছে আমজনতার। সেই চাপ কমানোর ‘পন্থা’ বের করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দাবি করলেন, সরকার ট্রেন ও মেট্রো চালু করলেই সাধারণ মানুষের বোঝা কিছুটা কমবে।
রবিবার সকালে নিউ টাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে দিলীপকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সেই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘সেজন্য সরকারের ট্রেন চালু করা উচিত। মেট্রো রেল চালু করা উচিত, যাতে সাধারণ মানুষের উপর চাপ কম আসে। পেট্রল ও ডিজেলের দাম তো আজ নয়, বাড়ছে কয়েক বছর ধরে। বাড়েও, কমেও, যেটা সরকারের হাতে মোটেও নেই।’
যদিও দিলীপের সেই ‘পন্থা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের জন্য বাংলায় লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো বন্ধ থাকলেও দিলীপের ‘পন্থা’-য় কতটা ভার লাঘব হবে আমজনতার? জ্বালানি তেলের উপর তো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও নির্ভর করে। তা কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে?
এমনিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের চার রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট মিটে যাওয়ার পর থেকেই চড়চড়িয়ে দাম বেড়েছে পেট্রল এবং ডিজেলের। দেশে তো আগেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছিল পেট্রল। শনিবার দার্জিলিঙেও এক লিটার পেট্রলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এছাড়াও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়ার মতো জেলাতেও সেঞ্চুরি করে ফেলেছে পেট্রল। রবিবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৪৫ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯২ টাকা ২৭ পয়সা।