এবার অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলোর ইচ্ছা মতো ভাড়া বাড়ানোর উপর লাগাম টানতে নয়া আইন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই আইন প্রণয়নের পর রাজ্যের অনুমোদন ছাড়া ইচ্ছা মতো যথেচ্ছ হারে আর ভাড়া বাড়াতে পারবে না কোনও অ্যাপ ক্যাব সংস্থা। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে অফিস টাইমে রাস্তায় বেরিয়ে গণপরিবহণের অভাবে যাতে সাধারণ মানুষকে আর দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সেজন্য শহরের রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যায় বাস নামানোর আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।
করোনা আবহের মধ্যেই পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া হয়েছে। অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের জন্য লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। সেই পরিস্থিতিতে যথেচ্ছ হারে ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কোনও অ্যাপ ক্যাব সংস্থা ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বেস ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার কোনও অ্যাপ ক্যাব সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, বিভিন্ন সারচার্জের নামে ঘুরপথে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, অ্যাপ ক্যাবে এসির সুবিধা পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রথমদিকে বলা হচ্ছিল, করোনা বিধি মানতে এসি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে যাত্রীদের অভিযোগ, আর এসি চালু করছে না কোনও অ্যাপ ক্যাব সংস্থাই। উল্টে বাড়তি ভাড়াও গুণতে হচ্ছে তাঁদের। আবার চালকদের সংগঠনগুলোর অভিযোগ, বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলো চালকদের কমিশনও কমিয়ে দিয়েছে।
যাত্রীদের আরও অভিযোগ, রাতের ভাড়া আকাশছোঁয়া বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে দিনের বেলায় পৌঁছাতে ৩০০-৪০০ টাকার মধ্যে ভাড়ায় যাওয়া যাচ্ছে, সেখানে বেশি রাতে ১১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।