ডেঙ্গি এখন রাজ্যের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের সচেতন করলে মিলবে সরকারি পুরস্কার। আজ, বৃহস্পতিবার এমনই ঘোষণা করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। এখন রাজ্যে দুর্গাপুজোর মরশুম। তার মধ্যেই ডেঙ্গির হার বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। সেখানে মানুষকে সচেতন করতে মানুষকেই দায়িত্ব নিতে উদ্বুদ্ধ করছে পঞ্চায়েত দফতর বলে মনে করা হচ্ছে। এদিনও শহরে একজনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে।
ঠিক কী পুরস্কার দেওয়া হবে? এই সচেতনতার কাজ করলে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে মিলবে স্বাস্থ্যবান্ধব পুরস্কার। দুর্গাপুজোর মরশুমে মানুষকে সতর্ক করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার মানুষকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করতে পুজো উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে উৎসাহিত করতে স্বাস্থ্যবান্ধব পুজোর পুরষ্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। শহর এবং পঞ্চায়েত এলাকাতে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সচেতন না হলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই এই উদ্যোগ পঞ্চায়েত দফতরের।
আর কী জানা গিয়েছে? পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, এই ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার বাড়ানোই পুরস্কারের মূল উদ্দেশ্য৷ ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার পঞ্চায়েত এলাকায় মশাবাহিত রোগ নিয়ে বৈঠক করেছেন। এমনকী রাজ্যের মুখ্যসচিবও প্রত্যেক জেলাকে সতর্ক করেছেন। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত দফতর মনে করছে পুজো কমিটিগুলিরও একটি দায়িত্ব রয়েছে। তাই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি সবদিক পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্যবান্ধব পুজোর পুরস্কার দেবে।
কেমন করে মিলবে পুরস্কার? সেরা মণ্ডপ থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিমা, সেরা পরিবেশের জন্য বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান দেওয়া হয়। থিম বা মণ্ডপসজ্জার জন্যও পুরস্কার পায় পুজো কমিটিগুলি। এবার পতঙ্গবাহিত রোগ নির্মূল করতে এলাকায় কী কী পদক্ষেপ তারা করছে সেটা বিচার করেই সংশ্লিষ্ট ক্লাব বা দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে স্বাস্থ্যবান্ধব শারদ সম্মান দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পঞ্চায়েত এলাকায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস তৈরির মতো সামাজিক দায়িত্ব পালনে উত্তীর্ণ দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কার দেওয়া হবে।