এখনও পিতৃপক্ষ। দেবীপক্ষের সূচনার আগেই বিরাট সফলতার কথা ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দেবী পক্ষের আগেই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে এমএসএমই বার্ষিক রিপোর্ট ২০২৩-২৪ যেটা ভারত সরকারের এমএসএমই মন্ত্রক প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে সবার শীর্ষে। ’
‘আশ্চর্যজনকভাবে মহিলা পরিচালিত এমএসএমইতে রাজ্য দেশের মধ্যে একেবারে প্রথম স্থানে রয়েছে। দেশের নিরিখে ২৩.৪২ শতাংশ রয়েছে এই রাজ্যের।’
‘এই সংখ্যাটা বাংলার মহিলা উদ্যোগপতিদের শক্তিকে সামনে এনেছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ লিখেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।
মহালয়ার আগেই এল খুশির খবর। বাংলার মহিলা উদ্যোগপতিদের শক্তিকে সম্মান জানাল ভারত সরকার। রাজ্যের দেওয়া তথ্য অনুসারে নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে এই বিরাট সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর জেরে এতদিন ধরে বিরোধীরা রাজ্যের শিল্প ক্ষেত্রে খরা নিয়ে যে নানারকম কটাক্ষ করতেন তা থেকে সাময়িক স্বস্তি।
বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর এই পোস্টের পরেই অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন। ক্ষুদ্র, মাঝারি, ও ছোট শিল্প ক্ষেত্রে মহিলাদের এগিয়ে চলাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকেই।
এক নেটনাগরিক লিখেছেন, রাজ্য সরকার মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডকে ঘিরে বার বার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শাসক দল তৃণমূলকেও। তবে এমনকী এই রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও বার বার নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বার বার বেকায়দায় পড়ছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন দফতরে একের পর এক ব্যর্থতার কথা সামনে আসতে শুরু করেছে। তার মধ্যেই এবার সামনে এল বিরাট সাফল্যের কথা।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বীকৃতি কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে রাজ্য সরকারকে। একদিকে যখন হাজার হাজার মহিলা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে তখনই শিল্পক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নে বিরাট সাফল্যের কথা সামনে আনলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
তিনি সাফল্যের কথা তুলে ধরে লিখেছেন, দেবী পক্ষের আগেই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে এমএসএমই বার্ষিক রিপোর্ট ২০২৩-২৪ যেটা ভারত সরকারের এমএসএমই মন্ত্রক প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে সবার শীর্ষে।
আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্য মহিলা পরিচালিত এমএসএমইতে রাজ্য একেবারে প্রথম স্থানে রয়েছে। দেশের নিরিখে ২৩.৪২ শতাংশ রয়েছে এই রাজ্যের।
এই সংখ্যাটা বাংলার মহিলা উদ্যোগপতিদের শক্তিকে সামনে এনেছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।