বৃহস্পতিবার ভোররাতে কলকাতায় আনা হল রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে। তাঁকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত বিপন্মুক্ত মন্ত্রী। তাঁর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল আছে। কাটিয়ে উঠেছেন ট্রমাও।
বুধবার রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় মন্ত্রীর উপর বোমা হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিকভাবে মন্ত্রীকে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জাকিরের বাঁ পা এবং ডান হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এক হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইমতো রাতেই কলকাতার দিকে রওনা দেয় মন্ত্রীর অ্যাম্বুল্যান্স। জাকিরের সঙ্গে চিকিৎসক এবং নার্সের পাশাপাশি তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীও ছিলেন। ভোর ৪ টে ৪৫ মিনিটে এসএসকেএমে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্স। আপাতত ট্রমা কেয়ার ইউনিটে মন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সকাল ৬ টা ১০ মিনিটে এক্স-রে হয়েছে মন্ত্রীর। তাঁর ত্বক এবং কোষে আঘাত আছে। হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে হাঁটুতে স্প্লিন্টার বিঁধে আছে। সকাল ১০ টা নাগাদ তাঁর অস্ত্রোপচার করা হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। তবে তাঁর জ্ঞান আছে। কথাও বলছেন। হামলার প্রাথমিক ট্রমা কাটিয়ে উঠেছেন।
মন্ত্রীর পাশাপাশি দেহরক্ষী সুজন বিশ্বাসকেও এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাতের মাত্রা বেশি। মন্ত্রীর মতোই বৃহস্পতিবার তাঁরও অস্ত্রোপচার করা হবে। আরও যে ১৪ জনের মতো আহত হয়েছিলেন, তাঁদের কয়েকজন অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তারইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত দেশি বোমা ছোড়া হয়েছিল। সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেও গিয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য নিমতিতায় যাচ্ছে একটি ফরেন্সিক দল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেটি রওনা দিয়েছে। দলে আছেন সাতজন বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি। একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে, হামলার জেরে কামরূপ এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর এক্সপ্রেস এবং হাটেবাজারে এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দিয়েছে রেল। তা রামপুরহাট দিয়ে যাতায়াত করবে{