স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য
নবান্নের নির্দেশে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে বাজল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান। শুক্রবার কলকাতা থেকে জেলায়, প্রায় সব থানায় দেখা গেল একই ছবি। যার নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।
শুক্রবার ছিল রবীন্দ্রনাথের ১৫৯তম জন্মদিনের আগে বুধবার নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারি করেন রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং। তাতে লেখা হয়, ৮ মে সকাল ৯টা থেকে ১১.৩০টার মধ্যে সমস্ত থানায় পালন করতে হবে রবীন্দ্র জয়ন্তী। সেখানে রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে বাজাতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা করোনা সচেতনতার গান।
সেই নির্দেশ মতো এদিন থানায় থানায় বেজে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা করোনা সচেতনতর গান। সঙ্গে কোথাও গান গাইতে শোনা যায় পুলিশকর্মীদেরও। লাউড স্পিকারে করোনা মোকাবিলায় কী করা উচিত আর কী উচিত নয়, তারও প্রচার চলে।
রাজ্যের একটি জেলার পুলিশ সুপার নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘রবীন্দ্রজয়ন্তীকে হাতিয়ার করে আমরা করোনাবিরোধী প্রচারে নেমেছি। সেখানে রবীন্দ্র সংগীত বাজানো ছাড়াও করোনা পরিস্তিতিতে কী করা উচিত আর কী উচিত নয় তাও মাইক্রোফোনে মানুষকে জানানো হয়েছে। সেখানে করোনা সচেতনতায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানও বেজেছে।’
রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বাঙালির আইকন। গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর জন্মদিন পালনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান বাজানো হবে কেন?’ মুকুল রায়ের দাবি, ‘এতে একদিকে যেমন কবিগুরুকে অপমান করা হয়েছে তেমনই লঘু করা হয়েছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বকে।’
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচারণার অছিলায় মানুষের ওপরে মুখ্যমন্ত্রীকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
এদিন কলকাতার রবীন্দ্র সদনের সামনে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা ইন্দ্রনীল সেন।
নবান্নের নির্দেশে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে বাজল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান। শুক্রবার কলকাতা থেকে জেলায়, প্রায় সব থানায় দেখা গেল একই ছবি। যার নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।
শুক্রবার ছিল রবীন্দ্রনাথের ১৫৯তম জন্মদিনের আগে বুধবার নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারি করেন রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং। তাতে লেখা হয়, ৮ মে সকাল ৯টা থেকে ১১.৩০টার মধ্যে সমস্ত থানায় পালন করতে হবে রবীন্দ্র জয়ন্তী। সেখানে রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে বাজাতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা করোনা সচেতনতার গান।
সেই নির্দেশ মতো এদিন থানায় থানায় বেজে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা করোনা সচেতনতর গান। সঙ্গে কোথাও গান গাইতে শোনা যায় পুলিশকর্মীদেরও। লাউড স্পিকারে করোনা মোকাবিলায় কী করা উচিত আর কী উচিত নয়, তারও প্রচার চলে।
রাজ্যের একটি জেলার পুলিশ সুপার নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘রবীন্দ্রজয়ন্তীকে হাতিয়ার করে আমরা করোনাবিরোধী প্রচারে নেমেছি। সেখানে রবীন্দ্র সংগীত বাজানো ছাড়াও করোনা পরিস্তিতিতে কী করা উচিত আর কী উচিত নয় তাও মাইক্রোফোনে মানুষকে জানানো হয়েছে। সেখানে করোনা সচেতনতায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানও বেজেছে।’
রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বাঙালির আইকন। গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর জন্মদিন পালনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান বাজানো হবে কেন?’ মুকুল রায়ের দাবি, ‘এতে একদিকে যেমন কবিগুরুকে অপমান করা হয়েছে তেমনই লঘু করা হয়েছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বকে।’
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচারণার অছিলায় মানুষের ওপরে মুখ্যমন্ত্রীকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
এদিন কলকাতার রবীন্দ্র সদনের সামনে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা ইন্দ্রনীল সেন।