সিইএসসির 'অস্বাভাবিক' বিলে রীতিমতো জেরবার আমজনতা। কীভাবে এত বিল আসতে পারে, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যুক্ত ছিলেন খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাড়িতেই ১১,০০০ টাকার বিল পাঠাল সিএসইসি!
বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থা হয়তো গত দু'মাস রিডিং নেয়নি। কিন্তু ১১,০০০ টাকা বিল আসার পর আমি রীতিমতো অবাক হয়ে যাই। এটা অস্বাভাবিক এবং মাত্রাতিরিক্ত। বছরের এই সময় আমার সাধারণত ৭,০০০ টাকার মতো বিল হয়।'
অর্থাৎ স্বাভাবিকের থেকে ৫৭ শতাংশের বেশি বিল পাঠিয়েছে সিইএসসি। অনেকের ক্ষেত্রে তো আবার স্বাভাবিকের থেকে দ্বিগুণের বেশি বলে অভিযোগ। অনেকেরই দাবি, গত বছর জুলাইয়ে ৩,০০০ টাকার মতো বিল পেয়ে কারোর এবার আসছে ৫,০০০ টাকা, কারোর ক্ষেত্রে আবার ৬,০০০ টাকার বিল ধরানো হচ্ছে। তার জেরে সিইএসির উপর ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। বিদ্যুৎমন্ত্রীও জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত বিল নিয়ে তিনি রোজই অভিযোগ পাচ্ছেন। তা নিয়ে সিইএসসিকে ব্যাখ্যা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন তো আমার সঙ্গে বাড়িতে দেখা করতেও আসেন (অভিযোগ জানাতে আসেন)। আমি ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
যদিও সিইএসসির দাবি, লকডাউন ও আমফানের সময় অনেক জায়গায় বাড়ি বাড়ি ফিরে রিডিং নেওয়া সম্ভব হয়নি। গড় করে সেই সময়কার বিল পাঠানো হয়েছিল। বেসরকারি সংস্থার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সাফাই, ‘নির্দিষ্ট নির্দেশিকার ভিত্তিতে আমরা প্রাথমিকভাবে কম বিল পাঠিয়েছিলাম। গত ছ'মাসের বিলের উপর নির্ভর করে তা তৈরি করা হয়েছিল। শীতকালের কারণে প্রাথমিকভাবে বিল কম ছিল। এখন সেটা ঠিক করা হয়েছে।’