ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিয়ে বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিল তৃণমূলের অন্দরে। আর এবারও হোতা সেই সাধন পাণ্ডে। মঙ্গলবার গাছ কাটতে রাস্তায় বেরিয়ে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে একহাত নেন তিনি। বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল না কলকাতা পুরসভা।
রাজ্যের মন্ত্রী হলেও বিভিন্ন সময় তৃণমূলের বিবেকে পরিণত হন সাধনবাবু। এবার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দেখে জেগে উঠল সেই বিবেক। এদিন সাধনবাবু ফিরহাদ হাকিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কলকাতা পুরসভায় মোট ১৪০টা ওয়ার্ড। আর পুরসভার কাছে গাছ কাটার মেশিন রয়েছে মাত্র ২৫টা। প্রতিটা ওয়ার্ডে একটা করে গাছ কাটার মেশিন থাকা উচিত। পুরসভার প্রস্তুতির অভাব দুর্ভাগ্যজনক।’
সাধনবাবু বলেন, ‘সম্প্রতি পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে বদলি করা হয়েছে। তিনি যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। ৫ দিন আগে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা পেয়েও কোনও প্রস্তুতি বৈঠক করেননি পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বিধায়কদের নিয়ে তাঁর বৈঠক করা উচিত ছিল। সেখানে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও ডাকা উচিত ছিল। সেখানে আমরা আমাদের মত জানাতে পারতাম।’
সাধনবাবুর হামলার পালটা জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ করোনা ভয়ে বাড়িতে লুকিয়ে থেকে বড় বড় কথা বলছেন। আমি রাস্তায় ছিলাম। করোনা ও ঘূর্ণিঝড় দুয়ের সাথেই লড়েছি।’
ওদিকে তাদের দাবিকে সমর্থন করায় সাধনবাবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সাধনবাবুর এদিনের বক্তব্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। তাদের দাবি, বিধানসভা সম্ভবত বিজেপির সঙ্গে সেটিং করছেন সাধনবাবু। বছর কয়েক আগে উলটোডাঙা স্টেশনের গায়ে এক বিশাল হনুমান মূর্তি বসিয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। তৃণমূল নেতার এহেন মারুতি ভক্তি দেখে তখন অনেকেই বলেছিলেন, এবার বিজেপিতে যাচ্ছেন সাধন। কিন্তু তখনকার মতো স্থগিত হয় যাত্রা। এবার কি বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ফের একবার কিস্তি মাত করবেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। সাধনের মুখে শোভনের নাম ও ফিরহাদের সমালোচনায় সেই ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেকে।