ভোটে পরাজয়ের পর যখন একেবারে দিশেহারা অবস্থা বিজেপির তখন আচমকাই আলিপুরদুয়ার থেকে দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। তাঁর দাবি ছিল উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করতে হবে। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চেয়ারও বরাদ্দ হয়েছে তাঁর জন্য। কিন্তু তাঁর দাবিকে ঘিরে এখনও জলঘোলা চলছে বিভিন্ন মহলে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রথম পর্যায়ে জানিয়েছিলেন দল এই দাবিকে সমর্থন করে না। এদিকে সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে গিয়ে জন বারলাকে পাশে বসিয়ে তিনি আবার অন্য সুরে কথা বলতে শুরু করেন।এমনটাই দাবি তৃণমূলের। এদিকে অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক আবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার উত্তরবঙ্গের মানুষের উপর ছেড়ে দেন। এদিকে এবার ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায় এই ইস্যুতে নিশানা করলেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের।
মমতা বলেন, ‘দেশটাকে তো বিক্রি করে দিচ্ছে। এবার বাংলাকেও বিক্রি করার মতলব। খেলা হবে। বাংলাভাগ অত সহজ নয়। আর অত সহজে আমরা খেলায় হারও মানব না। বিজেপির মন্ত্রীদের কথায় বাংলা ভাগ হবে না।’ এদিকে এনিয়ে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, ‘মূলত ২১শের নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার জন্য় বিজেপি সোচ্চার হয়েছে। চূড়ান্ত রাজনৈতিক হতাশা থেকে রাজ্যকে খণ্ড খণ্ড করার চক্রান্ত করছে বিজেপি।’ তবে এসবের মধ্যেই ফের বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ‘কেউ কোনও বঙ্গভাগের কথা বলেননি। উত্তরবঙ্গের মানুষ, জঙ্গলমহলের মানুষ ৭০-৭৫ বছর ধরে বঞ্চিত।’