আজ, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার একঝাঁক শিল্পপতি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে চাঁদের হাট বসে নিউটাউনে। বাংলায় এবার বিনিয়োগ করতে পারে রাশিয়া বলে সূত্রের খবর। আগামী ৩ বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে রিলায়েন্স গ্রুপ বলে জানিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। এবার বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নিউটাউনে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এসব খবরের মধ্যে মানুষের জন্য বড় কথা শোনালেন দেশের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি। বাংলায় মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করতে চান চিকিৎসক দেবী শেঠি। আজ, মঙ্গলবার সপ্তম বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন থেকে এই কথা জানান দেশের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন।
এদিকে একদা কলকাতায় ইএম বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতাল ছিল ডা. দেবী শেঠির। বাংলা ছেড়ে তিনি এখন কর্নাটকে তৈরি করেছেন নারায়ানা হৃদয়ালয়ের মতো হাসপাতাল। এবার বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে এসে ডা. দেবী শেঠি বাংলার জন্য সুখবর শোনালেন। দেবী শেঠি বলেন, ‘৩৩ বছর আগে যখন এসেছিলাম তখন আমি জুনিয়র হার্ট চিকিৎসক। ইচ্ছে ছিল সমাজের গরিব মানুষের হৃদরোগের চিকিৎসায় সাহায্য করার। তবে বাংলার মানুষ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। শুধু হার্টের চিকিৎসাই নয়, গোটা দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থাই বদলে গিয়েছে। আমার ইচ্ছা ছিল এখানে একটি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করব। আমার ইচ্ছা আগামী দু’বছরে তা তৈরি করার। এখানে ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে।’
অন্যদিকে অল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে পদক পেয়েছিলেন চিকিৎসক শেঠি। তাঁর কথায়, ‘বাংলার মানুষ আমাকে রিয়েল লাইফ হিরো বানিয়েছে। বাংলার কাছে কৃতজ্ঞ। যে বাংলা গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছে। আমার একটা স্বপ্ন এই শহরে আমি একটি হাসপাতাল গড়ব। যে হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা, ক্যান্সারের চিকিৎসা, অরগ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে। হাজার শয্যা থাকবে ওই হাসপাতালে। দেশের সামনে ওই হাসপাতাল একটি উদারহণ হবে। তার জন্য আমরা হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করব।’
আরও পড়ুন: শিল্পপতিদের সামনেই কেন্দ্রীয় সরকারের পর্দাফাঁস, দুঃখের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী
আর কী জানা যাচ্ছে? দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে রাজ্যে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হলে রাজ্যবাসীর অনেক বেশি উপকার হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। তাঁর একাধিক ভিডিয়োতে দেবী শেঠি শুনিয়েছেন, কত কম খরচে হার্টের চিকিৎসা করা সম্ভব। কর্নাটক সরকারকে রাজি করিয়ে তিনি খুব কম খরচে একটি বিমা চালু করেন। মাসে নামমাত্র টাকা খরচ করে একজন কৃষক যে কোনও ধরনের হার্টের অপারেশন সেখানে করতে পারছেন। এবার তিনি যদি এই রাজ্যে একটি হাসপাতাল তৈরি করেন তা বিশ্বমানের হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।