মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ধরে রাখার ক্ষেত্রে যে সামান্য কালো মেঘ তৈরি হয়েছিল, তা পুরোপুরি কেটে গিয়েছে। রেকর্ড গড়ে ভবানীপুরে জিতেছেন। তার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকল না। তারপরই ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ভবানীপুরের মানুষের কাছে চিরঋণী আমি।’
এমনিতে মমতা যে ভবানীপুরে জিততে চলেছেন, তা ঘরোয়া মহলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতারাও। তবে তৃণমূলের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল, গত বিধানসভা ভোটে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যে ২৮,০০০-এর বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন, তা বৃদ্ধি করা। সেটা শুধু বাড়েনি, লিড দ্বিগুণ করেছেন মমতা। জিতেছেন রেকর্ড ৫৮,৮৩৫ ভোটে। এমনকী ২০১১ সালে ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের থেকেও লিড বাড়িয়েছেন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে যে ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূল বরাবর তেমন ভালো ফল করে না বা বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছিল, সেখানেও দাপট দেখিয়েছেন মমতা। যে খুশি মমতার গলাতেও ফুটে উঠেছে। মমতা বলেন, 'আমরা কোনও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি। এই প্রথমবার। কোনও ওয়ার্ডের মানুষ আমাদের হারাননি। এটা রেকর্ড। এমনকী ২০১৬ সালে যখন লড়াই করেছিলাম, তখন একটা-দুটো ওয়ার্ডে ভোট কম পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমরা একটি ওয়ার্ডেও আমরা হারিনি এটা মাথায় রাখতে হবে।'
সেইসঙ্গে ভবানীপুরে সেই জয়ের গুরুত্বও ব্যাখ্যা করেন মমতা। বলেন, 'কেন্দ্রটা ছোটো। কিন্তু বৃত্তটা বড়। সারা বাংলা আজ ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল এবং সারা বাংলা আঘাত পেয়েছিল, যখন আমরা সব নির্বাচনে জিতেও একটি নির্বাচনে জিততে পারিনি।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'তাঁরা আমায় নতুন করে উৎসাহ জুগিয়েছেন, নতুন করে প্রেরণা জুগিয়েছেন, নতুন করে কাজ করার জন্য মানুষ উৎসাহ দিয়েছেন। আমি চিরঋণী। শুধু আমি নয়, আমার দল থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার, বাংলার মানুষ তাঁদের মনে রাখবেন।'