কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য় ভারত বনধ ডেকেছে চাষীরা। পশ্চিমবঙ্গে যদিও এই ইস্যু নিয়ে এখনও তেমন রাজনৈতিক আন্দোলন হয়নি। তবে বামপন্থী সংগঠনগুলি যেহেতু এই কৃষক ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন তাই কিছুটা প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে শাসক তৃণমূল বনধের বিরোধিতা করলেও ইস্যুটিকে সমর্থন করেছে। এর মধ্যে সরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলক হাজিরা সম্পর্কিত নির্দেশিকা এবার জারি করেনি রাজ্য়, যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবার অর্থমন্ত্রক কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। সাধারণত অর্থমন্ত্রক বলে যে সবার হাজিরা বাধ্যতামূলক, শুধু আপৎকালীন ছুটি বা পূর্বে মঞ্জুর করা ছুটিই ধার্য হবে। তৃণমূল জমানায় এরকম কোনও পূর্ব উদাহরণ আছে বলে মনে করতে পারছেন না কেউ।
তবে রাস্তায় ঝামেলা এড়াতে ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী পুলিশ। পরিবহণ সংগঠনগুলির সঙ্গে রাজ্য সরকার বৈঠকও করেছে যদিও তাতে উপস্থিত ছিলেন না বামসমর্থিত সংগঠনগুলি। রাজ্য পরিবহণ নিগম এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমগুলির বাস পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। চলবে ট্রেন ও মেট্রো রেল। কিন্তু বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব কতটা পাওয়া যাবে সেই নিয়ে প্রশ্ন আছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা শহরের বহু অংশে পুলিশ-পিকেট করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার পুলিশ রাস্তায় থাকবেন। বরিষ্ঠ পুলিশ কর্তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন। রাস্তায় থাকবে বিশেষ পুলিশ গাড়ি। গত কিছু বনধে যেসব স্থানে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেসব স্থানের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে।