কলকাতার বুকে এবার ঠিকানা বদলে যাবে বিধান মার্কেটের। তবে সেটা অস্থায়ীভাবে। মোটামুটি আট মাসের মধ্যে বিধান মার্কেটের ঠিকানা বদলে যাবে।বর্তমানে যেখানে বিধান মার্কেট রয়েছে সেখানে আর বিধান মার্কেট থাকবে না। সেই বিধান মার্কেটের ঠিকানা বদলে যাচ্ছে অস্থায়ীভাবে। সেই মার্কেট কিছুটা পেছনে সরে কলকাতা মাউন্টেড পুলিশ প্যাডক অ্য়ান্ড রাইডিং স্কুলের মাঠে আপাতত নিয়ে যাওয়া হবে এই বিধান মার্কেটকে। পরবর্তী সময় স্থায়ী ভাবে সেই বিধান মার্কেট চলে আসবে মেট্রো স্টেশনের উপরে।
এসপ্ল্যানেড চত্বরে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই বিধান মার্কেট। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ক্রেতারা আসেন। মূলত স্পোর্টস গুডসের লাইন দিয়ে দোকান রয়েছে এখানে। বহু দূর থেকে এখানে স্পোর্টস গুডস কেনার জন্য ক্রেতারা আসেন। তবে এবার সেই বিধান মার্কেটের ঠিকানা বদল হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইন অর্থাৎ জোকা-বিবাদি বাগ লাইনের এসপ্ল্যানেড স্টেশন তৈরির জন্য সরতে হচ্ছে এই বিধান মার্কেটকে। রাইডিং স্কুলের ওই মাঠে অস্থায়ী ভাবে বিধান মার্কেটের স্থান হবে। দিল্লির একটি সংস্থা সেখানে লোহার কাঠামো তৈরি করবে। সেখানেই সরে যেতে হবে এই বিধান মার্কেটকে। বিধান মার্কেটের ৫২৮টি স্টলকে সেখানে সরে যেতে হবে।
এদিকে বিধান মার্কেটকে সরানো নিয়ে একাধিকবার টানাপোড়েন হয়েছে। সেই বাজারের ব্যবসায়ীদের শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে সেই বিধান মার্কেটকে সরানোর ব্যাপারে তোড়জোড় চলছে।
সূত্রের খবর, বর্তমানে যেখানে বিধান মার্কেট রয়েছে সেখানেই আগামী দিনে তৈরি হবে এসপ্ল্যানেড স্টেশন। স্বাভাবিকভাবেই সরতে হবে বিধান মার্কেটকে। সেজন্যই চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু যতদিন না স্টেশন তৈরি হচ্ছে ততদিন কোথায় যাবেন ব্যবসায়ীরা? সেকারণেই অস্থায়ীভাবে অন্যত্র বিধান মার্কেট তৈরির উদ্যোগ। লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি হবে স্টল। সেখানেই চলে যাবেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে তাঁদের বছর তিনেক থাকতে হতে পারে। কারণ স্টেশনের উপরেই বিধান মার্কেটের স্থায়ী ঠিকানা হতে পারে পরবর্তী সময়ে। কিন্তু মাঝের সময়টা ব্যবসায়ীদের সরানো হবে। প্রায় ১৯ কোটি টাকা খরচ করে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি হবে।
বর্তমানে যে জায়গায় বিধান মার্কেট রয়েছে সেটা ভেঙে ফেলা হবে। ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। সেখানেই সরে যেতে হবে ব্যবসায়ীদের। সেই মতো পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে ধাপে ধাপে কাজ করা হবে।