শীতকালে জলের চাহিদা কম থাকলেও চাহিদা মেটাতে বেশ চাপে পড়তে হয়। সেটা গরমকালে হিমশিম খাওয়ার জায়গায় পৌঁছে যায়। তখন জলকষ্ট ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত এলাকায় এই সমস্যা বড় আকার ধারণ করে। তাই কেষ্টপুরে পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প করা হচ্ছে। যার জন্য ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। এই নয়া প্রকল্প গড়ে উঠলে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। জলের যে সমস্যা এখানে দেখা দেয় সেটা অচিরেই মিটে যাবে। এখন বিধাননগরে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন। এই প্রকল্প হয়ে গেলে অনেকটা সমস্যা মিটবে।
কিন্তু কেষ্টপুরে কেন জলের প্রকল্প হচ্ছে? বিধাননগরের একটা বড় অংশে জল ঠিক মতো সরবরাহ হয়। কিন্তু সল্টলেকের সংযোজিত এলাকা ও কেষ্টপুর, জ্যাংড়া, বাগুইআটি, হাতিয়াড়া, প্রমোদনগরে জলের সমস্যা গরমকালে বাড়ে। বিধাননগর পুরনিগম সূত্রে খবর, তাঁদের দিনে গড়ে ২ কোটি গ্যালন জলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গরমকালে যে চাহিদা বাড়ে তা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। রাজারহাট–গোপালপুর পুরসভার আওতায় থাকা এলাকাতে জলের সমস্যা দেখা দেয়। যদিও এখানে টিউবওয়েলের জল মেলে। তবে তাতে আর্সেনিকের সমস্যা আছে। আবার ভূগর্ভস্থ জল কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই নিউটাউনে জল প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রকল্পে পলতা থেকে গঙ্গার জল পরিস্রুত করে রোজ সরবরাহ করা হবে কেষ্টপুরে। তাতে উপকৃত হবেন নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: ‘চার্জশিট নিয়ে কিছু জানায়নি সিবিআই’, বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার
এই জলের প্রকল্প কেষ্টপুরে হলে অন্যান্য এলাকাতেও তা পৌঁছে যাবে। ফলে সবদিক থেকে উপকার হবে। আর বিধাননগর পুরনিগম সূত্রে খবর, অম্রুত প্রকল্পে নিউটাউন থেকে জল বিধাননগরে পৌঁছে যাবে। তার জন্য বেশ কয়েকটি জলাধার তৈরি করা হয়েছে। পাইপলাইন বসানো হয়েছে। দ্রুত নিউটাউন থেকে বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় জল পৌঁছে যাবে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে কেষ্টপুরের জল প্রকল্প অত্যন্ত উপযোগী। সেক্ষেত্রে বিধাননগর পুরনিগম আর চাপে পড়বে না।
বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত এলাকায় আগের থেকে জলের সমস্যা কমেছে। কিন্তু এখনও যে সমস্যা আছে সেটা গরমকালে ভয়াবহ আকার নেয়। তাই কেষ্টপুরে যে জল প্রকল্প হবে তা প্রভাব ফেলবে বিধাননগরেও। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল এখনও নাগরিকদের খেতে হয়, সেখানেই এই পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। এই বিষয়ে বিধাননগর পুরনিগমের এক অফিসার বলেন, ‘বরোর ২২ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জলের সমস্যা ছিল। তবে নয়া প্রকল্পের জেরে জল নিয়ে আর কেউ কোনও অভিযোগ করতে পারবেন না।’