দূষণের কথা বলছেন? দূষণের কথা? প্যালেস্টাইনে তো ইজরায়েল বোম ফাটাচ্ছে। সেখানে দূষণ হচ্ছে না? পুলিশ আধিকারিকের প্রশ্নের উত্তরে শব্দ বাজি ফাটানোয় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির এই জবাব শুনে কার্যত আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা এক পুলিশ আধিকারিকের। আসলে কালীপুজোর আগের দিন দেদারে বাজি ফাটছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই বাজি ফাটানোর অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তাকে থানায় ধরে নিয়ে প্রশ্ন করেছিল, আপনি জানেন না শব্দবাজি নিষিদ্ধ। এত বাজি ফাটাচ্ছেন কেন?
আর তারপর যে জবাব এল তাতে তো আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা। তবে পুলিশ আধিকারিক পালটা জানিয়েছিলেন আমি প্যালেস্টাইনের দায়িত্বে নেই। এখানকার দায়িত্বে আছি। তাই আপনাকে বলছি।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত দুঘণ্টা শব্দবাজি ফাটানোর জন্য় অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানছেন কজন।সন্ধ্যা থেকে শুরু হচ্ছে শব্দবাজি ফাটানো। আর রাত যত গভীর হচ্ছে ততই বাড়ছে সেই শব্দবাজি ফাটানোর মাত্রা। একেবারে দমাদম শব্দে ফাটছে শব্দবাজি। কান পাতা দায়।
তবে এসবের মধ্যেই কালীপুজোর আগের দিন শব্দবাজি ফাটানো নিয়ে এই মজার অভিজ্ঞতার কথা সামনে এসেছে। তবে বিষয়টি কেবলমাত্র মজার বলে উড়িয়ে দেওয়াটা মনে হয় ঠিক হবে না। এর সঙ্গেই শব্দবাজি নিয়ে যে সচেতনতার অভাব সেটাও আরও একবার সামনে এসেছে।
বর্তমান সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে বিষয়টি জানা গিয়েছে। এদিকে এবার প্রশ্ন উঠছে শব্দবাজি যাতে ফাটানো না হয় সেকারণে নানাভাবে সচেতন করা হয়েছে। শব্দবাজি যাতে বিক্রি না হয় তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ফাটছে শব্দবাজি। এটা কীভাবে সম্ভব?
কারণ শব্দবাজি যদি বিক্রিই না হয় তাহলে এই শব্দবাজি আসছে কীভাবে? আসলে বাসিন্দের একাংশের মতে, পুরোটাই বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। একদিকে বলা হচ্ছে যে শব্দবাজি ফাটানো যাবে না। আবার অন্য়দিকে বিক্রি হচ্ছে শব্দবাজি। পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ সব জেনে না দেখার ভান করছে। আর সেই ফাঁক গলেই দেদারে ফাটছে শব্দবাজি।
তবে অনেকের মতে এবার কিছু জায়গায় শব্দবাজি ফাটানোর প্রবণতা গতবারের তুলনায় কিছুটা কম। বাসিন্দাদের অনেকেই কিছুটা হলেও সচেতন হয়েছেন। তবে তার মধ্যেই বাংলায় বসে প্যালেস্টাই-ইজরায়েলের বোমার শব্দেj কথা বলছেন অভিযুক্ত। তবে শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিণতি কী হয়েছিল সেটা জানা যায়নি।