কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে একজন জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এখন অভিযোগ করেছে যে এই ভয়ঙ্কর অপরাধে তৃণমূলের কোনও সাংসদের ভূমিকা থাকতে পারে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যাবতীয় ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা কেন এই মামলা নিয়ে নীরবতা পালন করছেন? তিনি ডাক্তারদের টিমের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সম্পর্কেও কথা বলেছিলেন যাতে মাদকদ্রব্য এবং একটি যৌন চক্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
"ডাক্তার টিমে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই জাতীয় অনেক বিষয় উঠে এসেছে, এর কিছু স্ক্রিনশটও আমাদের কাছে পৌঁছেছে যেমন ড্রাগস, র ্যাকেট, সেক্স র ্যাকেট। একজন তৃণমূল সাংসদ এবং তাঁর ভাইপোর নাম বারবার উঠে আসছে, আমি জানি না কী হয়েছে, তবে যেটাই হোক সেটা ভুল হয়েছে।
তৃণমূলে এত মহিলা সাংসদ থাকা সত্ত্বেও একজন মহিলা সাংসদও এই বিষয়ে তেমন কিছু বলেননি। এমনকী তৃণমূলের ১ জন সাংসদ, ৩ জন বিধায়ক, ২ জন একই মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন, কিন্তু তাঁদের মুখেও সেলো টেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ' অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, রাজ্য বিজেপি কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, যারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে মৃত স্নাতকোত্তর চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত রাতে বেআইনিভাবে করা হয়েছিল।
'তদন্ত না করেই পুলিশ অভিভাবকদের জানায় তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তারা কীভাবে পরিবারের সদস্যদের এই কথা বলতে পারে? পুলিশ কাউকে বলির পাঁঠা বানানোর চেষ্টা করছিল। অভিযোগ সুকান্তর।
যেভাবে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে, ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অপরাধের ঘটনাস্থলের তদন্তের জন্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) একটি দল নিয়ে যায় সিবিআই।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওপিডি পরিষেবা জুনিয়র ডাক্তার হিসাবে বুধবার বন্ধ রয়েছে, অন্যদিকে ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (এফএআইএমএ) এই ঘটনার জন্য দেশব্যাপী ওপিডি পরিষেবা বন্ধ রেখেছে।
আরজিকরের ঘটনার জেরে গোটা দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।