সমুদ্রে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে অনেক দিন হল। ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন মৎসজীবীরা বড় ইলিশ ধরার আশায়। কিন্তু তার দেখা নেই। জালে যা ধরা পড়ছে, সবই ছোট ইলিশ। ফলে ভোজন রসিক বাঙালির পাতে যে সুস্বাদু ইলিশ পড়বে, তেমন আশা দেখছেন না মৎসজীবী। সেই কারণে এখন দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাতে হচ্ছে।
কিন্তু বড় ইলিশের দেখা মিলছে না-ই বা কেন? কারণ হিসাবে মৎসজীবীরা দায়ী করছেন আবহাওয়াকে। তাঁদের মতে, পর্যাপ্ত বৃ্ষ্টি সেই সঙ্গে পুবালি হাওয়া বইছে না। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে মিষ্টি জল পাচ্ছে না বড় ইলিশগুলি। মিষ্টি জলে ইলিশ উপরে উঠে আসে। সেটা এখানে হচ্ছে না। এবারে ওড়িশা, অন্ধ্র উপকূলে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। সেখানেই চলে যাচ্ছে বড় ইলিশগুলি। এরফলে ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, কোলাঘাট, নামখানার মৎসজীবীদের জালে রূপালি শস্য ধরা পড়ছে না। মাছ ব্যবসায়ীদের মতে, কলকাতা ও আশেপাশের শহরতলির বাজারে এখন যে বড় ইলিশের দেখা মিলছে, সেগুলি আসছে বালেশ্বর থেকে। ফলে বালেশ্বর থেকে মাছ আনতে হওয়ায় খরচ বাড়ছে। মাছ আনার খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ছে।
তবে মৎসজীবীরা অবশ্য পুবালি হাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার, কোলাঘাট বা বকখালির মোহনায় বড় ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলে ইলিশের জাল ফেলছেন না মৎসজীবীরা। অন্য মাছের জাল ফেলা হলেও সেখানে উঠে আসছে খোলা ইলিশ। বড় ইলিশের দেখা কবে মিলবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দহান তাঁরা। তবে তাঁরা আশাবাদী, পুবালি হাওয়া ও সেই সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলেই বড় ইলিশ আবার মোহনায় আসতে শুরু করবে।