পুজো আসছে। এসেছে উৎসব। উৎসবে ফেরার কথা বলেছেন খোদ বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার তারা গণকনভেনশনের আয়োজন করেছিলেন। এসএসকেএম অডিটোরিয়ামে এই গণ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কনভেনশনে একদিকে যেমন আমন্ত্রিত ছিলেন সমাজের বিশিষ্ট জনেরা তেমনি যে রিকশা চালকরা প্রতিবাদের সুর সুর মিলিয়েছিলেন তাঁরাও ছিলেন এই কর্মসূচিতে।
অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত জুনিয়র ডাক্তারদের কনভেনশনে জানিয়েছেন, থ্রেট কালচার ভুলে গেলে চলবে না। নির্যাতিত কোনও মহিলা না হয়ে পুরুষও হতে পারতেন। হুমকি সংস্কৃতির কারণে এসব হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। হুমকি দেওয়া মানেই ভয় পাওয়া। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন বলেই হুমকি দিচ্ছেন।
এই কনভেনশনে কেবলমাত্র সমাজের এলিট শ্রেণির প্রতিনিধিরা রয়েছেন এমনটা নয়। রিকশাচালক, ডেলিভারি বয় সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিরা ছিলেন এই কনভেনশনে।
মূলত সমাজের সর্বস্তরের মতামত গ্রহণ করা, তাঁদের আন্দোলন কতটা সঠিক ছিল, তাঁদের আন্দোলন এবার কোন পথে চালানো দরকার সেসব নিয়ে মতামত গ্রহণ করা হয়।
গণকনভেনশনে একটি ভিডিয়ো দেখানো হয়। সেখানে গত ৯ অগস্ট থেকে শুরু করে যে সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ হয়েছে তা দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৬জন বক্তা তাঁদের বক্তব্য রাখেন। তাঁদের মতামতের কথা তুলে ধরেন। একাধিক সিনিয়র ডাক্তারও ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে।
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো বলেন, ন্যায় বিচার কেউ পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃ্ক্ত হচ্ছেন। এই সলতে যেন নিভে না যায়। এই অঙ্কুরকে বিনষ্ট হতে দেবেন না। বিচার ছাড়া আমাদের আর কোনও চাওয়া নেই।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে রিকশাচালক, ডেলিভারি বয়, আইটি কর্মী, বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবের সমর্থক সহ সমাজের নানা শ্রেণির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এদিন মতামত চাওয়া হয়। তাঁদের বক্তব্য শোনার উপর জোর দেওয়া হয়। এই ঘটনা, এই ধরনের মতামত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিন গণ কনভেনশন থেকে দুটি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কর্মসূচির মধ্য়ে অন্যতম হল মহালয়ার দিন হবে মহা মিছিল। সেদিনই হবে মহা সমাবেশ। অর্থাৎ উৎসব এলেও কমছে না প্রতিবাদের ঝড়। মহালয়ার মহা সমাবেশ থেকে এবার জুনিয়র ডাক্তাররা কী বার্তা দেন সেটাই দেখার।