বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক বাংলার একাদশ–দ্বাদশের ছাত্রীরাও এবার পাবে বিশেষ বৃত্তি

টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‌বিজ্ঞান ও গবেষণায় সারা দুনিয়াকে অনেক তাবড় নাম উপহার দিয়েছে বাংলা। প্রত্যেক বিজ্ঞানী ও তাঁদের অবদানের জন্য সারা বিশ্ব গর্বিত।’‌

ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

আজ, বৃহস্পতিবার, আন্তর্জাতিক মহিলা বিজ্ঞানী দিবস। এই উপলক্ষে এদিন রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের জন্য বিশেষ বৃত্তির ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সারা বিশ্বের মহিলা ও পুরুষ বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি টুইটে বাংলার ছাত্রীদের বিজ্ঞান মেধা বিকাশে এক বৃত্তি দেওয়ার কথা জানালেন।

শুধুমাত্র কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্সের ছাত্রীদের ‘বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি’ দেয় রাজ্য সরকার। ২০১৭ সাল থেকে তৃণমূলের সরকার বাংলায় এই বৃত্তি প্রদান শুরু করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টুইটে জানান, তাঁর নামকরণ করা এই বৃত্তি এবার থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদেরও দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পড়ুয়াদের বিজ্ঞানে আগ্রহ বাড়াতে উৎসাহ দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিন আন্তর্জাতিক মহিলা বিজ্ঞানী দিবস উপলক্ষে টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‌বিজ্ঞান ও গবেষণায় সারা দুনিয়াকে অনেক তাবড় নাম উপহার দিয়েছে বাংলা। প্রত্যেক বিজ্ঞানী ও তাঁদের অবদানের জন্য সারা বিশ্ব গর্বিত।’‌ ‘‌বিজ্ঞান কন্যা মেধা বৃত্তি’‌–র ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘২০১৭ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর বিজ্ঞান নিয়ে পাঠরত মেধাবী ছাত্রীরা এই বৃত্তি পায়। প্রত্যেক মাসে তাঁদের ২ হাজার টাকা দেওয়ার পাশাপাশি বইপত্র কেনার জন্য প্রতি বছর আড়াই হাজার টাকা করে টানা ৫ বছর অর্থসাহায্য করে রাজ্য সরকার।’‌

এতদিন এই সুবিধা শুধুমাত্র পেতেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। মেধাবী ছাত্রীর পড়াশোনায় যাতে আর্থিক সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে তার জন্য এই বৃত্তির সুবিধা স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য বাজেট বা ভোট অন অ্যাকাউন্টে মমতা ঘোষণা করেছেন, আগামী বছর থেকে প্রতিবছরই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য ট্যাব বা মোবাইল ফোন কেনার জন্য প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার।