পরপর পরাজয়। আর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটে পরাজয়ের পরেই সিপিএম নেতৃত্বের প্রতিবার বোধদয় হয়, রণকৌশলে ভুল ছিল। প্রত্য়াশিতভাবে এবারও নেতাকর্মীদের সামনে সেই একই তত্ত্ব হাজির করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। এবার দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সরাসরি স্বীকারোক্তি, বিজেমূলের মতো স্লোগান ব্যবহার করা ভুল হয়েছিল। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বোঝাপড়া বোঝাতে এমন কিছু কথা ও স্লোগান সিপিএমের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের মুখে শোনা গিয়েছিল যার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনও মিল নেই। বরং এই ধরনের প্রচার জনমানসে বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল।
শুধু তাই নয়, সূর্যকান্ত মিশ্রের আরও দাবি, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ধাক্কা সামাল দিতে শাসকদল তথা রাজ্য সরকার যে সব কর্মসূচি নিয়েছিল, সেগুলোকেও তারা ছোট করে দেখে ভুল করেছেন। একেবারে সোশ্য়াল মিডিয়ায় কর্মীদের বার্তা দিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। আর এখানেই সিপিএমের নীচুতলার কর্মীদের দাবি আর কতবার ভূুল করবেন নেতৃত্ব। ৩৪ বছর সরকারে থেকে, পরপর পরাজয়ের পরেও যদি রণকৌশলেই এত ভুল থেকে যায় তবে তো সেই নেতৃত্বের প্রতি ভরসা হারাবেন কর্মীরা।
সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি বিজেপির সঙ্গে অন্য কোনও পার্টিকে এক করে দেখা উচিৎ নয়, কারণ দেখা যায় না। অথচ প্রকারান্তরে সেটাই দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল। তৃণমূল ও বিজেপিকে আমরা এক করে দেখিয়ে ফেলেছি। ফলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বঙ্গীয় ভোট রাজনীতিতে কে প্রধান শত্রু, কার সঙ্গে লড়াই- এনিয়ে দলে একটা অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি ভোটের সময় পায়ে আঘাত পেয়ে হুইলচেয়ারে বসা মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে বিজেপির মোকাবিলা করবেন- এই প্রশ্ন তোলাকে মানুষ ভালোভাবে নেননি, কবুল করে নিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র।