আগে উনি আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্চ জমা দিন। তার পর আমি হলফনামা দেব কি না ভাবব। তাঁর বিরুদ্ধে বার্থ সার্টিফিকেট দুর্নীতির অভিযোগের এভাবেই জবাব দিলেন বাম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সঙ্গে তিনি মনে করান, তাঁর জমানাতেই কলকাতা শহরে নিকাশির সব থেকে বড় কাজ করেছে কলকাতা পুরসভা।
এদিন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বিকাশবাবু বলেন, ‘কলকাতা পুরসভা তো ওনাদের দখলে। ওনাকে বলুন আগে পড়াশুনো করে আমি কী দুর্নীতি করেছি তার একটা রিপোর্ট জমা দিন। তার পর আমি হলফনামা দেব কি না ভেবে দেখব। হলফনামা দিতে হলে আমি আদালতে দেব। উনি আমার কাছে হলফনামা চাইতে পারেন না কি? কোনও প্রমাণ ছাড়া বাজে বকে বেড়ালে আমাকে জবাব দিতে হবে না কি?’
হাতে স্যালাইনের চ্যানেল, হাসপাতালেই প্রেমিকের সঙ্গে আফাত গানে উদ্দাম নাচ রাখির!
তাঁর সময় কলকাতায় বৃষ্টি হলে ৫ দিন জল জমে থাকত বলে যে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন তারও জবাব দিয়েছেন বিকাশবাবু। তিনি বলেন, ‘কলকাতার ইতিহাসে নিকাশির সব থেকে বড় কাজটা আমার সময় হয়েছে। পুরনো ইঁটের নিকাশি নালা ভেঙে অত্যাধুনিক পাইপের বসানো হয়েছে। তার ওপর হয়েছে কংক্রিটের ট্রাম লাইন। কয়েকশ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছিলাম। এর জেরে একদিকে যেমন কলকাতার নিকাশির সমস্যা পাকাপাকি ভাবে মিটেছে তেমনই রাস্তার ওপর গাড়ির গতি বেড়েছে। মধ্য ও উত্তর কলকাতাসহ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় যানের গতি বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কিছু জানে না। ওনাকে বলুন ফাইল বার করে পড়তে।’
বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিকাশবাবুকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘সিপিএমের ৩৪ বছরের একটা আলমারি দেখান তো সব কিছু পাওয়া যাবে তথ্য। কোথায় গেল? একটু বিকাশবাবুকে বলুন না, হাইকোর্টে আমাদের চোর – ডাকাত না বলে, তিনি শুধু তাঁর আমলে বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন কি একটা হলফনামা দিয়ে? শুধু একটা কথা বললাম’।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘ববি তো এখন মেয়র হয়েছে। জল জমলে দাঁড়িয়ে থাকে হাঁটু জলে। উনি যখন মেয়র ছিলেন চারদিন পাঁচদিন, উনি কলকাতায়ই থাকতেন না। আজকে বড় বড় কথা’।