শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতে ল্যাজে গোবরে অবস্থা রাজ্য সরকারের। কী ভাবে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে ভেবে অস্থির মন্ত্রী - আমলারা। আর তারই মধ্যে এক এক বেলায় এক এক রকম কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী। কখনও বলছেন, আদালতের নির্দেশে আমরা অবৈধভাবে চাকরিরতদের বরখাস্ত করতে রাজি আছি। কখনও আবার বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে চান না। এই নিয়ে দিল্লি থেকে হিন্দুস্তান টাইমসকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, এই মামলায় যোগ্য প্রার্থীদের প্রধান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, চাকরি থেকে বাদ দিলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টাকা ফেরত চাইবেন অযোগ্য প্রার্থীরা। তাই তাঁদের জন্য এত দরদ মমতার।
এদিন বিকাশবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অবগতিতে তাঁর আস্থাভাজনরা যুবক যুবতীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে চাকরি দিয়েছেন। এখন সেই চাকরি চলে গেলে তারা তো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টাকা ফেরত চাইবেন। মুখ্যমন্ত্রী চ্যালারা তো সেই টাকা হজম করে ফেলেছে। ফলে উনি টাকা দেবেন কোথা থেকে? তাই অযোগ্য প্রার্থীদের প্রতি ওনার এত দরদ।’
তিনি বলেন, ‘অযোগ্যদের চাকরি গেলে অনেক তৃণমূল নেতা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর দল ধরে রাখা মুশকিল হবে।’
কিন্তু যোগ্যদের নিয়োগে তো বাড়তি পদ তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকাশবাবু বলেন, ওই পদ যোগ্যদের নিয়োগের জন্য নয়, অযোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে। আর এভাবে নিজের খেয়াল খুশি মতো পদ তৈরি করা যায় না। মানুষের করের টাকা খোলামকুচি না কি? আদালত এসবের অনুমোদন দেবে না। অযোগ্যদের ওনাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবেই।