উনি আগে নবান্ন ছাড়ুন, কয়েক ঘণ্টায় আমি নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করব: বিকাশরঞ্জন

বিকাশবাবুর কথায়, ‘চাকরি প্রার্থীরা মামলা করছেন কেন তা আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরতে পরতে দুর্নীতি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আদালত। সেই সব দেখে ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তাঁর জন্য শূন্যপদে নিয়োগ করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। অনেক টাকা থাকলেও একের পর এক মামলা লড়ে চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি আটকে রেখেছেন তিনি। মঙ্গলবার আসানসোল কোর্ট ময়দানে দলের কর্মিসভা থেকে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এমনই মারাত্মক অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জবাবে পালটা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিকাশবাবু। বললেন, জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে এখন আমাকে ঢাল করার চেষ্টা করছেন উনি। পারবেন না।

এদিন বিকাশবাবু সাফ বলেন, ‘উনি নবান্ন থেকে সরে যান। আমি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। উনি ১৪তলা থেকে আগে নামুন। তার পর চাকরি দেওয়ার দায়িত্ব আমার। স্বচ্ছভাবে সব নিয়োগ করতে আমার কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে’।

বিকাশবাবুর কথায়, ‘চাকরি প্রার্থীরা মামলা করছেন কেন তা আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরতে পরতে দুর্নীতি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আদালত। সেই সব দেখে ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জনরোষের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন উনি। সেই রোষ আমার দিকে ঘুরিয়ে দিতে আমার নাম করেছেন। মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর আইনজীবী হিসাবে এই মামলা লড়া আমার কর্তব্য’।

তিনি বলেন, ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলার লড়ার জন্য কারও কাছে টাকা চাননি। উনি সেটা চাকরিপ্রার্থীদের কাছেই জিজ্ঞাসা করুন’।

মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর কটাক্ষ, ‘এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন আমার কাছে ১৭ হাজার চাকরি রয়েছে। ১১ বছরে স্বচ্ছভাবে ক’টা নিয়োগ করেছেন উনি? এতদিন চাকরি হয়েছে টাকা দিয়ে আর তৃণমূল নেতাদের তাঁবেদারি করে। আদালতে সব প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তার পর এসব কথা উনি বলেন কী করে?’