নানা মামলায় জর্জরিত থাকার পরে ২১শের নির্বাচনের আগে দীর্ঘ অন্তরালপর্ব কাটিয়ে প্রকাশ্যে এসেছিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। তৃণমূলকে ঢালাও প্রশংসা করেই কার্যত পাহাড়ে ওঠার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন বিমল। কিন্তু পাহাড়ে ফিরলেও, পাহাড়ের রাজনৈতিক জমি এখনও পুরোপুরি ফেরৎ পাননি বিমল গুরুং। এবার কার্যত সেই রাজনৈতিক জমি পুুনরুদ্ধারের জন্য তৎপর হলেন খোদ বিমল গুরুং।
পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিমলের ছায়াসঙ্গী রোশন গিরি। ভোট মিটে যাওয়ার প্রায় মাস দুয়েক পরে পাহাড়ে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের দাবিতে এবার তৃণমূলের কাছে বার্তা বিমল শিবিরের। এদিকে সূত্রের খবর মোর্চার প্রতিনিধিরা যখন অভিষেকের সঙ্গে দেখা করেন তখন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও উপস্থিত ছিলেন। সেক্ষেত্রে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আইনগত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান অভিজ্ঞ মহলের।
এদিকে মোর্চার তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘মমতা নিজেও পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে। নির্বাচনী ইস্তাহারের পাসাপাশি গত ১৫ই ডিসেম্বর জলপাইগুড়িতে উপস্থিত হয়েও একথা উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন বিমল ফের উসকে দিতে চাইছেন সেকথা? রাজনৈতিক মহলের মতে, একটা সময় গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পাহাডে জনপ্রিয়তার শিখরে গিয়েছিলেন গুরুং। এখন বিনয় তামাংয়ের শিবিরকে কোণঠাসা করে নিজের রাজনৈতিক জমি ফেরৎ পেতে, পাহাড়বাসী আস্থা ফিরে পেতে এবার পাহাড়়ের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের দাবিকেই হাতিয়ার করছে বিমল শিবির।