হাসপাতালে ভরতি সিপিএম নেতা বিমান বসু। গতকাল রাতেই অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন বিমান বসু। সঙ্গে জ্বরও আসে। এর জেরে অসুস্থবোধ করেন তিনি। এছাড়া শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাতেও ভুগছেন তিনি। এই আবহে রাতে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন থেকে দলীয় সহকর্মীরাই বিমান বসুকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে আজ সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। যদিও উপির্বাচনের প্রাক্কালে বিমান বসু হাসপাতালে ভরতি হওয়ায় বামেদের মনোবলে জোর ধাক্কা লাগ পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। (আরও পড়ুন: ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে সামনে এল চোখ ছানাবড়া করে দেওয়া 'জিনিস', হতবাক আধিকারিকরা)
আরও পড়ুন: বাংলায় জুড়েছে ২ রেলপথ, নয়া রুটে ট্রেন চালুর আগে অবশ্য ভোগান্তি লোকাল যাত্রীদের
সূত্রের খবর, বন্ধু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই শরীর ভাল যাচ্ছিল না বিমান বসুর। এরই মাঝে আবহাওয়া পরিবর্তনের আবহে ঠান্ডা লাগে তাঁর। তবে এর মধ্যেও মুজফ্ফর আহমেদ ভবনেই ছিলেন তিনি। তবে গতকাল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় বিমান বসুর। সঙ্গে জ্বরও আসে। ৮৪ বছর বয়সি বাম নেতাকে তখনই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন রাত প্রায় ৯টা। তবে আজ সকালে আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ আছেন বিমান বসু। এই আবহে আপতত জেনারেল বেডেই রাখা হয়েছে তাঁকে। (আরও পড়ুন: কাজের জন্যে মেট্রোর পরিষেবায় পরিবর্তন, নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা, কী বলছে রেল?)
আরও পড়ুন: 'উধাও' সরকারের ৪০ লাখ, ভাতা পাচ্ছে না মানুষ, বিস্ফোরক অভিযোগ TMC কাউন্সিলরেরই
আরও পড়ুন: আদালতে সঞ্জয়কে দেখে চিনতেই পারেননি আরজি করের নির্যাতিতার বাবা
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং পলিটব্যুরো সদস্য। এর আগে দলের দলের সম্পাদকের পদও সামলেছিলেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি দলে যোগ দেন এবং ১৮ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে থাকতে শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের কলকাতা জেলার সহ-সভাপতি হয়েছিলেন বিমান বসু। এরপর ১৯৭০ সালে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের প্রথম সর্বভারতীয় সম্পাদক হন তিনি। ১৯৭১ সালে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী)-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য হন এবং ১৯৭৮ সালে সম্পাদকীয় সদস্য হন। ১৯৮৫ সালে সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি দলের পলিটব্যুরোর সদস্য হবেন। বর্তমানে এত বয়সেও দলের কাজ করে চলেছেন বিমান বসু।