জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন বিপ্লব মিত্র। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর। তখন যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই ঘর ওয়াপসি হয় তাঁর। ফের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হন তিনি। আজ বিপ্লব মিত্র পূর্ণমন্ত্রী হওয়ায় বালুরঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের আনন্দ প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি অবশ্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যানও। হরিরামপুর বিধানসভা আসনে তিনি জিতেছেন। আর তাঁকে রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই সবুজ আবির মাখা, বাজি ফাটানো এবং মিষ্টিমুখও করা হয়।
বিপল্ব মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো কর্মী। এই প্রবীণ নেতা জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। পরে বিজেপিতে যান। কিন্তু আবার ফিরে আসেন ঘাসফুলে। আর হরিরামপুর থেকে তিনি জোড়াফুল চিহ্নে একুশের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জিতেও যান এবং মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। আনন্দে সোমবার বালুরঘাট সাহেব কাছারিতে জায়ান্ট স্ক্রিনে বিপ্লব মিত্রের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখানো হয়।
প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর আস্থা ছিল বিপ্লব মিত্রের উপর। তাই ২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১—তিনবারই তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে জয় পেলেও ২০১৬ সালের নির্বাচনে বামপ্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। এবারের নির্বাচনে জিতে মন্ত্রিসভায় বিপ্লব। কৃষি বিপণন দফতরের দায়িত্ব এবার তাঁর কাঁধে। জেলার নেতা বিপ্লব মিত্র পূর্ণমন্ত্রী হওয়ায় সবাই খুশি। তাই আনন্দে মেতে উঠল কর্মী–সমর্থকরা।