মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতির একের পর এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ভর্তসনার মুখে পড়ে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের পাশাপাশি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসেও সমালোচনার মুখে পড়ে তারা। সিবিআই আধিকারিকদের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন।
মঙ্গলবার নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি বসুর এজলাসে মুখবন্ধ খামে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। খাম খুলে রিপোর্ট পড়ে বিচারপতি দেখেন, তার সঙ্গে দিন কয়েক আগে সিবিআইয়ের আইনজীবীর জমা দেওয়ার রিপোর্টের কোনও মিল নেই। এর পরই কোন রিপোর্টটি ঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বসু। সিবিআইয়ের আইনজীবী কি তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই রিপোর্ট পেশ করেছিলেন? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এর পর বিচারপতি বলেন, ‘সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন।’
বলে রাখি, এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ২টি মামলায় ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে সিবিআই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি। সঙ্গে তিনি বলেন, ওই আধিকারিক যেন তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কোনও ফাইল আর স্পর্শ না করেন। এছাড়া মাদ্রাসা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে, মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করতে না পারায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup