বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার দলের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরেই শাখা কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন। প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিজেপিতে কোনও শাখা কমিটি ছিল না। অবশেষে শাখা কমিটি ঘোষণা করলেন সুকান্ত মজুমদার। গতকাল দলের ১৮ টি শাখা কমিটি ঘোষণা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। এই শাখা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, বৈশালী ডালমিয়াকে।
শাখা কমিটিতে রুদ্রনীলকে সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান করা হয়েছে। অর্থাৎ বিজেপির সাংস্কৃতিক সংক্রান্ত সবকিছুই দেখাশোনা করবেন রুদ্রনীল। শাখা কমিটির বাণিজ্য শাখার যাবতীয় কাজকর্ম দেখবেন বৈশালী ডালমিয়া। তাঁকে বাণিজ্য শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া, কমিটিতে রয়েছে অর্থনীতি শাখা এবং উদ্বাস্তু শাখা। অর্থনীতি শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীকে এবং উদ্বাস্তু শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারকে। এই কমিটিতে রয়েছে মৎস্যজীবী শাখা। এই শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক স্বদেশ নায়ককে। এদিকে, সাংস্কৃতিক শাখায় সহ-আহ্বায়ক করা হয়েছে অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্রকে। চিকিৎসা শাখার সহ-আহ্বায়ক করা হয়েছে চন্দ্রমণি শুক্লকে। উল্লেখ্য, অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ মণীশ শুক্লর বাবা চন্দ্রমণি শুক্ল। মণীশ শুক্ল খুন হওয়ার পরেই তার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লকে বিধানসভা নির্বাচনে বারাকপুরে প্রার্থী করেছিল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন সে সময় বিজেপিতে শাখা কমিটি ছিল। সুকান্ত মজুমদার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্য সভাপতি মনোনীত হন। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি দিলীপ ঘোষের আমলের সমস্ত শাখা কমিটি ভেঙে দিয়ে ছিলেন তিনি। পাঁচ মাস পর ফের শাখা কমিটি ঘোষণা করল রাজ্য বিজেপি।