WB Assembly: বিধানসভায় নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে RTI বিজেপির, বেজায় ক্ষুব্ধ স্পিকার

জাল সার্টিফিকেটে অনেকে বিধানসভায় চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসএসসি, টেট দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। এবার বিধানসভায় চাকরিতেও দুর্নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভবন। ছবি : সংগৃহীত

এবার রাজ্য বিধানসভাতেও কর্মী নিয়োগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিজেপি। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য ইতিমধ্যেই আরটিআই করেছেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। গত ১০ বছরে রাজ্য বিধানসভায় যারা চাকরি পেয়েছে তাদের তথ্য জানতে চেয়েছেন তিনি। আর এই অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির ওপর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

জাল সার্টিফিকেটে অনেকে বিধানসভায় চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসএসসি, টেট দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। এবার বিধানসভায় চাকরিতেও দুর্নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। যে আরটিআই করা হয়েছে তাতে ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১০ বছরে যারা যারা বিধানসভায় চাকরি পেয়েছেন তাদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা কোথা থেকে পাশ করেছেন এবং কী কী নথি জমা দিয়েছেন বা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? এই সমস্ত তথ্য জানতে চেয়েছেন অম্বিকা রায়।

বিজেপির এই দাবিতে বেজায় ক্ষুব্ধ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন, এসব করে বিধানসভার মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এর আগে কখনও এরকম ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, ‘বিধানসভায় যাদের চাকরি হয় প্রত্যেকের পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সে ক্ষেত্রে তাদের চাকরি বাতিল করা হয়। বিরোধী দলনেতার সুপারিশে তিনজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে, রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বিজেপির সমালোচনা করেন।