আগামী ৮ জুন বাংলায় পা রাখছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এখানে এসে তিনি বুথ স্তরের রিপোর্ট নেবেন। আর তা নিয়েই চাপে পড়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ রাজ্য বিজেপির সংগঠন এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বুথ স্তরের সভাপতিদের হদিশ নেই। সেখানে কী করে উত্তর দেবেন তাঁরা তা ভেবেই কপালে ভাঁজ পড়েছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? একুশের নির্বাচনের পরই দলে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে ওঠে। সংগঠন ভেঙে তলানিতে পৌঁছেছে। বুথ সভাপতিদের একাংশ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। আর বাকি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। সেখানে বুথ সভাপতিদের রিপোর্ট চাইলে সুকান্ত–শুভেন্দু–অমিতাভরা চাপে পড়ে যাবেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘বুথ সভাপতিরা আসলে ভূতুড়ে। কেউই বাস্তবে নেই। পুরোটাই ঘরে বসে তৈরি করা। বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই।’
বিকল্প কোন পথ নেওয়া হয়েছে? বিজেপি সূত্রে খবর, বুথ সভাপতি যাঁরা ছিলেন তাঁদের ফোন করলে ধরছেন না। আবার অনেকের খোঁজ মিলছে না। কেউ কেউ সরাসরি পার্টি করতে অস্বীকার করেছেন। ফলে বুথ সভাপতিদের মধ্যে অধিকাংশ নিখোঁজ বলা যায়। আর বুথ সভাপতি স্তরে গড়মিল রয়েছে বলেই আগেই রিপোর্ট দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেটাই বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন জেপি নড্ডা। আর তাতেই চাপ।
তাহলে কী বুথ সভাপতির তালিকা দেওয়া যাবে না? সূত্রের খবর, প্রথমে একটি তালিকা দেওয়া হবে জেপি নড্ডার হাতে। তাতে যদি তিনি দেখে চুপ করে যান তো মিটে গেল। যদি এদের হদিশ চেয়ে বসেন তখন সরাসরি স্বীকার করা হবে, এরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বেঁচে যাওয়া যাবে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বুথ স্তর শক্তিশালী করা হচ্ছে বলেও জানানো হবে। আর থিতিয়ে যাবে বিষয়টি।