এবার ত্রিপুরায় বিজেপির অন্তর্কলহকে প্রকাশ্যে নিয়ে এলো তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে ইদানিং তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলা হয়েছে। বারবার ছুটে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিপ্লববাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন? নাকি সুদীপবাবু হবেন? নয়াদিল্লি নাকি ফোনে বার্তা দিয়েছে? জিতবেন কোন পক্ষ? আগে নিজেরা লড়ুন।’ অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করার পর থেকেই সেখানে বিপ্লব দেবের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাই অন্য রাজ্যের মতো এখানেও মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল আনতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিলেন কুণাল ঘোষ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে সবাই জানে সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে বিপ্লব দেবের সম্পর্ক অহি–নকুল। তার উপর সুদীপ রায় বর্মণ মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার পরে বিপ্লব দেবের সঙ্গে আরও খারাপ হয়েছে সম্পর্ক। এই সুদীপ রায় বর্মণ আবার মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তবে এখনও তিনি বিজেপিতেই আছেন। তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সাংগঠনিক শক্তি নেই এখানে। ওরা বলছে জয়ী হবে এখানে। চমক দিয়েছেন অনেকে অনেকবার। গণতান্ত্রিক দেশ, ফলে তাঁদের কথা শুনতে হবে। এটা অনেকটাই ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো।’
এওই বিষয়ে পাল্টা তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের চাপ সামলাতে সেপ্টেম্বর মাসে ত্রিপুরায় আসবেন জেপি নড্ডা। তৃণমূল কংগ্রেসকে মেরে ঠেকাতে পারবেন? আগে ঘর সামলান। তাসের ঘরের মতো ভাঙবে বিজেপি। তাই এত ভয়।’ ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমাগত বাড়ছে। সেখানে আন্দোলন প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এমনকী বারবার সেখানে পৌঁছেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং দুই দলের রাজনৈতিক লড়াইয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।