বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা মহিলা নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ল বঙ্গ–বিজেপি। কারণ এখনও কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি তাঁর বিরুদ্ধে। যেখানে তিনি একের পর এক দল বিরোধী পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের নেতাদের অপমান করে ভাটের বৈঠকে ডাকবেন না বলে বেরিয়ে গিয়েছেন। এরপর ঠিক হয়েছিল, কড়া পদক্ষেপ করা হবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু দলের অন্দরে রূপাকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ার জন্য তা করা যাচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর।
শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী গৌরব বিশ্বাসের পাশে গিয়ে তিনি দাঁড়িয়েছেন। অথচ দল যাঁকে প্রার্থী করেছে তাঁকে সমর্থন করেননি। প্রয়াত কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী নির্দল প্রার্থী গৌরবের জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন বিজেপি সাংসদ। এই নিয়েই তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
কেন রূপার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা গেল না? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন বলে শেষে ঠিক হয়েছে। কারণ অনেকেই চান না তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক। তাছাড়া এখন কলকাতা পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। এই মুহূর্তে কিছু করা ঠিক হবে না বলেই সিদ্ধান্ত।’ সুতরাং রূপাকে নিয়ে দুটি গোষ্ঠী বিভক্ত হয়ে পড়েছে তা বোঝা যাচ্ছে।
এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। রাজ্য বিজেপিতে রূপা বিরোধী গোষ্ঠীর প্রশ্ন, দলের মধ্যে ক্ষোভপ্রকাশ করে ছোটখাট নেতারা বহিষ্কার হয়েছে। সেখানে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই দলের বিরোধিতা করে ছাড় পাবেন কেন? তাঁদের বোঝানো হয়েছে, যা ব্যবস্থা নেওয়ার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবেন। রাজ্য বিজেপির হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। তবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।