বিধানসভার সদস্য হয়েছেন বিধায়করা। কিন্তু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই জনপ্রতিনিধিদের। এখন এমপি হওয়ার জন্য মরিয়া তাঁরা। বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে খোদ একাধিক জেলা সভাপতি এবং বিধায়কদের সম্পর্কে এই মত উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ–বিজেপির বিধায়কদের তুলোধনা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্দ বলে সূত্রের খবর। বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে বিধায়কদের কার্যকলাপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ।
আর কী জানা যাচ্ছে? সংগঠনের হাল ধরতে গত জুলাই মাসে অমিত শাহ সতীশকে গোয়া থেকে বাংলায় পাঠিয়েছিলেন। মাত্র চার মাসেই বিজেপি বিধায়কদের সম্পর্কে এই তথ্য পেয়েছেন আরএসএস–এর এই প্রচারক। সোমবার হেস্টিংসে বসেছিল বিজেপির উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। সেখানেই সতীশ ধন্দ বিজেপি বিধায়কদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, দলের বিধায়করা এলাকায় যান না। তাই কোনও জনসম্পর্ক নেই। বুথস্তরের সংগঠনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখেন না। চার মাসের সমীক্ষা রিপোর্টে এভাবেই তোপের মুখে পড়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছে ওই বৈঠকে? নামপ্পকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘বিধায়ক–সাংসদদের সঙ্গে রাজ্য সংগঠনের কোনও সমন্বয় নেই। একাংশ বিধায়ক এখন থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের টিকিট জোগাড়ে ব্যস্ত। সংরক্ষণের গেরো এড়িয়ে নিরাপদ আসন খুঁজে এমপি হতে মরিয়া তাঁরা। সোমবারের বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ ঘোষও অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।’
সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ বৈঠকে যে কথাগুলি বলেছেন তার সঙ্গে সহমত অনেকেই। সতীশ ধন্দ রাঢ়বঙ্গ এবং হাওড়া–হুগলি–মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে রয়েছেন। খোদ বিরোধী দলনেতার গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের গত ছ’মাস ধরে ময়না ও হলদিয়া বিধানসভার পাঁচটি মণ্ডল কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না। বিরোধী দলনেতার অনুগামী বিধায়করা নিজেদের পছন্দের মণ্ডল সভাপতি চাইছেন। সেখানে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই নাম বাতিল করছেন। ওই জেলার এক প্রাক্তন কাউন্সিলারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘিরেও রাজ্য সভাপতি বনাম বিরোধী দলনেতা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে।