ইতিমধ্যেই উৎসবের উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মহালয়া থেকেই পড়ে গিয়েছে দেবী পক্ষ। পুজো হচ্ছে পুজোর মতোই। সেই সঙ্গেই গোটা বাংলা জুড়ে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন। তবে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী অনেক দিন আগেই বলেছিলেন উৎসবে ফিরুন। আমজনতা কতটা উৎসবে ফিরবে তা বোঝা যাবে আর কয়েকদিন পরে। তবে বিজেপির কোনও কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রী এবার বাংলার শারদোৎসবের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন না বলেই খবর।
গতবারেও ছবিটা এমন ছিল না। বিজেপি প্রভাবিত একাধিক পুজো উদ্যোক্তারা হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের নিয়ে এসে পুজোর উদ্বোধন করিয়েছিলেন। তবে এবার চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম।
গত বছরও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজোর উদ্বোধনে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছিল। এবারও হবে না।
তবে সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীরা পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও বাংলার দুজন বিজেপি নেতার জন্য বিষয়টি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। একজন হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আর অপরজন হলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেই সঙ্গেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদরা পুজোর উদ্বোধন করতে পারবেন। তবে বিজেপির কোনও কেন্দ্রীয় নেতা বা মন্ত্রী বাংলায় বা কলকাতার কোথাও পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন না।
এদিকে অধিকারী গড়ে অর্থাৎ কাঁথি শহরের নান্দনিক ক্লাবের পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন কাঁথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী। সদস্যরা চেয়েছিলেন কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবার তাঁদের পুজোর উদ্বোধন করুন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
তবে ইতিমধ্য়েই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শ্রীভূমির উৎসবের উদ্বোধন করেছেন। আবার হাতিবাগানের পুজোরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন , হাতিবাগান থেকে আমি পুজোর উদ্বোধন শুরু করলাম।
তবে এসবের মধ্য়েই তুমুল আন্দোলন এখনও চলছে আরজি কর প্রতিবাদ আন্দোলন। এদিনও কলেজ স্ট্রিট থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়র ডাক্তাররাও এই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে নার্সরাও এই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এই প্রতিবাদের আবহে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। কারণ তাঁরা পুজোর উদ্বোধনে এলে নানা কথা উঠতে পারে। সেকারণেই কি পুজোর উদ্বোধন থেকে দূরে থাকবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা?