অন্দরের কোন্দল থামাতে চায় বিজেপি। বিভাজনের যে কাঁটা পদ্মে দানা বেঁধেছে তা উপড়ে ফেলার চেষ্টায় নেমেছে গেরুয়া নেতৃত্ব।
একদিকে জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাতে গোঁসা করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন বিজেপি’র সাংসদ সৌমিত্র খান। যুব মোর্চা থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেও পরে ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে দুটি লবি। এই পরিস্থিতিতে ইতি টানতে চাইছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বছর ঘুরতেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে এই বিভাজন ফ্যাক্টর কাজ করলে সুবিধা হবে তৃণমূলেরই। তাই এই ফাটল মেরামত করতে পথে নেমেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেনন। সৌমিত্র খান হলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ। লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছেন সৌমিত্র। মুকুল রায় বিজেপিকে সংখ্যা এনে দিয়ে সাফল্য তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে দল ভাঙানোর খেলায় তিনি বাজিমাতও করেছেন। সেখানে এই দু’পক্ষের বিভাজন না মেটালে দলের ক্ষতি হবে। এটা বুঝতে পেরেই বিভাজন কাঁটা সরাতে নেমেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি নবান্ন চলো অভিযান কর্মসূচি সফল করে বেশ আলোয় এসেছেন সৌমিত্র খান। সেখানে তাঁর তৈরি করা জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়েই বিভাজন তৈরি হয়েছে দলে। তবে এই নির্দেশ তিনি সাংসদের প্যাডে দিয়েছেন। দলের প্যাডে নয় বলে জানিয়েছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এই বিভাজন নিয়ে দিলীপ ঘোষ বা সৌমিত্র খান কেউ মুখ খুলতে চাননি।
এখন মুকুল ঘনিষ্ঠ শঙ্কুদেব পাণ্ডাকে যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক করতে চান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই বিষয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। সৌমিত্রকে সরিয়ে অন্য দায়িত্ব দিয়ে বিভাজন মেটানোর রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা।