বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > BJP Decision: বঙ্গ–বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা কেড়ে নিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব!‌ কী ফতোয়া এল?‌

BJP Decision: বঙ্গ–বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা কেড়ে নিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব!‌ কী ফতোয়া এল?‌

বিজেপির পতাকা। (HT_PRINT)

এই সিদ্ধান্ত জানার পর রাজ্য অফিসে এখন পিন পড়ার নীরবতা বিরাজ করছে। আন্দোলন সেভাবে করতে দেখা যায়নি। যা হয়েছিল সেটা চূড়ান্ত ফ্লপ। জেলাগুলিতে সংগঠন তলানিতে। সেটা রিপু করা যায়নি। বাকি যেটুকু কাজ বেঁচেছিল রাজ্য নেতাদের হাতে সেটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন তাঁরা কী করবেন?‌ সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বঙ্গ–বিজেপি। বারবার তা মিটিয়ে নিতে বলা হলেও সেটা হয়নি। বরং তা ক্রমাগত বেআব্রু হয়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগে মিঠুন চক্রবর্তী–সুকান্ত মজুমদারের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছিল রাঢ়বঙ্গের সাংগঠনিক বৈঠকে। এবার নয়াদিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গ–বিজেপিকে দাওয়াই দিলেন। দলের অন্দরের আকচাআকচি পরিস্থিতিতে বঙ্গ–বিজেপির সাংগঠনিক ক্ষমতা কার্যত কেড়ে নিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ সূত্রের খবর, এবার বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে রীতিমতো ফতোয়া জারি করে নয়াদিল্লির নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে রাজ্য, জেলা বা মণ্ডল পর্যায়ে কোনও সাংগঠনিক পরিবর্তন করার এক্তিয়ার থাকছে না বঙ্গ–বিজেপির। এই সিদ্ধান্ত জানার পর রাজ্য অফিসে এখন পিন পড়ার নীরবতা বিরাজ করছে। আন্দোলন সেভাবে করতে দেখা যায়নি। যা হয়েছিল সেটা চূড়ান্ত ফ্লপ। জেলাগুলিতে সংগঠন তলানিতে। সেটা রিপু করা যায়নি। বাকি যেটুকু কাজ বেঁচেছিল রাজ্য নেতাদের হাতে সেটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন তাঁরা কী করবেন?‌ সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী–সহ রাজ্য নেতৃত্ব শীঘ্রই কয়েকজন জেলা সভাপতি বদল করার কথা ভেবেছিলেন। ঠিক তার আগেই নয়াদিল্লির এই নির্দেশ অনেক হিসেব ওলটপালট করে দিয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য কমিটির নেতা বলেন, ‘‌গত ১৭ অক্টোবর দলের কোর কমিটি ঘোষণার প্রক্রিয়া দেখে কিছুটা ইঙ্গিত মিলেছিল। তখন রাজ্য ইউনিটকে বাদ দিয়ে সরাসরি নয়াদিল্লি থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্ত বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে।’‌

ঠিক কী জানানো হয়েছে ফতোয়ায়?‌ সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার নির্দেশ, এখন থেকে নয়াদিল্লিকে না জানিয়ে কোনও সাংগঠনিক রদবদল করা যাবে না। নতুন কাউকে পদে বসানো বা কাউকে সরানোর ক্ষেত্রে সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডেদের সাংগঠনিক রিপোর্টের ভিত্তিতেই করা হবে। আর অনুমতি ছাড়া কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। যদিও এই নিয়ে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা মুখ খুলতে চাইছেন না।

বন্ধ করুন