বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ভরসা নেই বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের উপর, অ্যাপ তৈরি করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

ভরসা নেই বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের উপর, অ্যাপ তৈরি করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

বিজেপির পতাকা।

ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ–বিধায়করা দল ছাড়তে শুরু করেছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসে এসে যুক্ত হচ্ছেন। তাতেও অন্যরকম বার্তা যাচ্ছে নেতা–কর্মীদের কাছে। এখন আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে মুখিয়ে আছেন। এমন খবরও চাউর হয়েছে। 

বাংলা সম্পর্কে মিথ্যে রিপোর্ট দিয়ে ঠকানো হয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এখন এমনই মনে করছেন। আর তার জেরে এখন বিমাতৃসুলভ আচরণ করছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে খবর। তাই এই প্রথম বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিতে শনিবার কলকাতায় আসেন রাজ্য বিজেপির সহ–পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। এবার রাজ্য বিজেপি নেতাদের উপর আস্থা হারিয়েই অরবিন্দ মেননের হাত দিয়ে বঙ্গ–বিজেপির নয়া অ্যাপ চালু করা হল।

কেন এই অ্যাপ চালু হচ্ছে?‌ সূত্রের খবর, বঙ্গ–বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল তা ৯০ শতাংশ মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এবার থেকে বুথে বুথে বিজেপির সামাজিক বিন্যাস, বুথ সভাপতির নাম–ফোন নম্বর এবং কর্মসূচির যাবতীয় তথ্য আপলোড করতে হবে এই অ্যাপে। সেখান থেকে দুধ কা দুধ, আর পানি কা পানি এই অ্যাপের মাধ্যমেই জেনে নেবে নয়াদিল্লি। হেস্টিংসের কার্যালয়ে নয়া ‘অ্যাপ’ নিয়ে জেলা নেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অরবিন্দ মেনন ছাড়াও ছিলেন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ বিজেপি সূত্রের খবর, এখন রাজ্য পার্টিতে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে। ফলে নেতা–কর্মীরা বসে গিয়েছেন। তাতে ভাল প্রভাব পড়েছে বিজেপিতে। যার জন্য একের পর এক নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয় ঘটেছে। আর অমিত শাহ থেকে জেপি নড্ডা সম্প্রতি রাজ্যে পা রেখে বুঝতে পেরেছেন বঙ্গ– বিজেপি নেতারা যা বলছেন তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। তারপরই এমন পদক্ষেপ।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ–বিধায়করা দল ছাড়তে শুরু করেছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসে এসে যুক্ত হচ্ছেন। তাতেও অন্যরকম বার্তা যাচ্ছে নেতা–কর্মীদের কাছে। এখন আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে মুখিয়ে আছেন। এমন খবরও চাউর হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব সামাল না দিতে পারলে নয়াদিল্লির নজরদারি কী কাজে আসবে?

বন্ধ করুন
Live Score