পুরভোটের আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শোভনের বান্ধবী। এদিন দুজনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করলেও মুখ্যমন্ত্রী যে ‘কানন’-এর খোঁজ নিয়েছেন তাও জানাতে ভোলেননি বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বৈশাখি জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কুশল জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শোভনবাবুকে করোনাভাইরাস থেকে সাবধানে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে বৈশাখি বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে চ্যাপ্টার অনেকদিন আগেই ক্লোজ করে এসেছি তা নতুন করে খোলার প্রশ্ন নেই।’ সেই সাক্ষাৎকারের শেষে আবার বৈশাখিদেবী বলেন, ‘বিজেপি না তৃণমূল, কোন দলের হয়ে শোভনবাবু পুরভোটে সক্রিয় হবেন, বা আদৌ সক্রিয় হবেন কি না তা জানতে কিছুদিন অপেক্ষ করতে হবে।’
গত সপ্তাহে তৃণমূলের তরফে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হলে শোভন বিজেপির হয়ে সক্রিয় হতে চলেছেন বলে খবর ছড়ায়। গত মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে ২ ঘণ্টা বৈঠক করেন বৈশাখি। সেখানে রত্নাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর শোভনের দলে ফেরার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়ে আসেন তিনি। এর পর যখন শোভনের বিজেপির হয়ে মাঠে নামার খবর আরও চাউর হয় তখনই বৃহস্পতিবার ধূমকেতুর মতো নবান্নে উদয় হয় বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের।